সংক্ষিপ্ত

বীরভূমে অমিত শাহের পাল্টা সভা তৃণমূল কংগ্রেসর। ফিরহাদ সরাসরি আক্রমণ করেন অমিত শাহকে। বলেন মমতা সততার প্রতীক।

 

তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সততার প্রতীক। দীর্ঘ দিন পরে বীরভূমের জনসভা থেকে আবারও এই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কথা প্রসঙ্গে তিনি তুলে ধরেন সদ্যো প্রকাশিত দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীদের সম্পত্তির তালিকা। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের সাম্প্রতিক নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বনিম্ন মোট সম্পদ প্রায় ১৫ লাখ টাকা। কারণ সম্প্রতি প্রকাশিত তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হলেন দেশের সবথেকে গরীব মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বীরভূমের সভায় দাঁড়িয়ে ফিরহাদ বলেন, রাজ্যের নেতৃত্বে থাকা সত্ত্বেও একজন মানুষ কীভাবেস সাধারণ জীবনযাপন করতে পারেন তারও উদাহরণ হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের জনসভার মাত্র দুই দিন পরেই তৃণমূল কংগ্রেস পাল্টা বীরভূমের সিউড়িতে সভা করে। সেখানেই থেকেই ফিরহাদ হাকিম বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সততার প্রতীক। যদি কেউ ভুল করে থাকে তাহলে সেটা তার দোষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এখনও একটি আধ পাকা বাড়িতে থাকেন। রাজ্যের কোষাগার থেকে কোনও সুযোগ নেন না। ফিরহাদ আবারও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও বেতন নেন না।

এদিন ফিরহাদ অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গ তুলে আক্রমণ করেন উত্তর প্রদেশের যোগী সরকারকে। তিনি বলেন, 'আমাদের নেতা অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচারকাণ্ডে বর্তমানে জেলে রয়েছেন। অথচ গরু আসত উত্তর প্রদেশের। আর আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে তা বাংলাদেশে চলে যেত।' তিনি বলেন বিএসএফ-এর তত্ত্বাবধানে গরু পাচার হত। তাই এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের যোগসাজেশ রয়েছে। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল এই ঘটনায় যুক্ত নয় বলেও বীরভূমের সভা থেকে দাবি করেন ফিরহাদ হাকিম। পাল্টা সীমান্ত পারের জন্য তিনি অমিত শাহের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন।

বীরভূমের সভা থেকে অমিত শাহ বলেছিলেন ২০২৪ সালের নির্বাচনে এই রাজ্য থেকে বিজেপিকে ৩৫টি আসন পেতে হবে। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন ফিরহাদ বলেন, গেরুয়া শিবির কিছুতেই এই রাজ্য থেকে ৩৫টি আসন পাবে না। কথা প্রসঙ্গে তিনি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কথা তোলেন। বলেন, সেই সময় অমিত শাহ এই রাজ্য থেকে ২০০ আসন পাওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বিজেপি তাঁর সেই বেঁধে দেওয়া টার্গেট পুরণ করতে পারেনি। ফিরহাদ বলেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটবে।