সংক্ষিপ্ত
দেশের নাম পরিবর্তন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দ অধিকারীর মন্তব্য জেনে নিন। দলীয় লাইনকে সমর্থন শুভেন্দু। প্রশ্ন তুলেন মমতা।
খুব তাড়াতাড়ি দেশের নাম পরিবর্তন হতে পারে। ইন্ডিয়া নাম পরিবর্তন করে হতে পারে ভারত। তর্ক বিতর্কে উত্তাল গোটা দেশ। এই অবস্থায় কী বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি বিজেপি বিরোধী জোটের ইন্ডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী। একই সঙ্গে দেখে নিন বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন প্রশ্ন তোলেন, 'হঠাৎ কী এমন হল দেশকে শুধুমাত্র ভারত বলতে হবে।' তিনি আরও বলেন, তিনি শুনেছেন দেশের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, রাষ্ট্রপতির নামে জি২০এর যে আমন্ত্রণপত্রটি বেরিয়েছে সেখানে ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ভারত বলা হয়েছে। আমরা দেশকে ভারত বলি। এতে নতুন কিছু নয়। ইংরেজিতে ইন্ডিয়া। আর নিজের ভাষায় ভারত। তারপরই তিনি প্রশ্ন তোলেন হঠাৎ কি হল যে দেশের নাম পরিবর্তন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব এই দেশকে ইন্ডিয়া নামে জানে। তিনি আরও বলেন দেশে ইতিহাস নতুন করে লেখা হচ্ছে।
তবে এই বিষয়ে সরকার এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। তবে বিজেপি নেতারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে কিছু বলেননি। কিন্তু অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মার একটি টুইট রিপোস্ট করেছেন। যেখানে হেমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, ভারত প্রজাতন্ত্র। খুশি এবং গর্বিত যে আমাদের সভ্যতা সাহসিকতার সঙ্গে অমৃত কালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । অর্থাৎ শুভেন্দু তাঁর দলকে সমর্থন করছেন এটা স্পষ্ট।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএসএর প্রধান মোহন ভাগবতের মত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই পরিবর্তনের পক্ষে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। ভাগবত অনেক দিন আগে থেকেই দেশের জনগণের কাছে ইন্ডিয়ার পরিবার্তে ভারত নামটি ব্যবহার করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি আরও বলেছিলেন এই দেশ বহু দিন ধরেই বিশ্বের কাছে ভারত নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু ব্রিটিশরা দখল করার পর থেকেই এই দেশের নাম ইন্ডিয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ভাগবতের তালে তাল মিলিয়ে দেশের নাম ভারত করার জন্য একাধিক সভায় সওয়াল করেছেন। ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লা থেকে দেশের নাগরিকদের কাছে পাঁচটি অঙ্গিকার করেছিলেন। এক হল দাসত্বের প্রতিটি চিহ্ন মুক্তি। এই দেশের প্রাচীন পরিচয় বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। এই প্রসঙ্গ উল্লেখযোগ্য হল প্রধানমন্ত্রী , রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির জন্য যে বিশেষ বিমান রয়েছে তাতে অবশ্য ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ভারত নাম খোদাই করা হয়েছে।