সংক্ষিপ্ত
বেঙ্গালুরুতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের বৈঠক নিয়ে বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বক্তব্যই নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পোস্ট করল কংগ্রেস।
বেঙ্গালুরুর বিরোধী রাজনৈতিক দলের বৈঠক নিয়ে উচ্ছ্বসিত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি জানিয়েছেন, 'এটি একটি ভাল আর ফলপ্রসূ বৈঠক। গঠনমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।' তিনি আরও বলেন, এদিন তাঁরা যা আলোচনা করেছেন আর যা সিদ্ধান্ত তা পরবর্তীকালে দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য খুব ভাল হবে। বৈঠকের পর অখিলেশ যাদবকে পাশে দাঁড় করিয়ে এই বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করেছে কংগ্রেস। গতকালের মত এদিনও বৈঠকে মধ্যমণি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মূল বৈঠকের সময় রাহুল গান্ধী আর সনিয়া গান্ধীর মাঝখানে বসে ছিলেন। যদিও পরবর্তীকালে আসন পরিবর্তন করেন রাহুল গান্ধী। যাইহোত সোমবার থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর সনিয়া গান্ধী দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন। যা থেকে স্পষ্ট কংগ্রেস আর তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে উষ্ণতার পারদ কিছুটা হলেও নামতে শুরু করেছে।
সোমবার বিরোধী বৈঠক শুরু হয় সন্ধ্যেবেলা। সন্ধ্যে ৬টার সময় দুই নেত্রী শীর্ষ আলোচনার স্থানে পৌঁছে গিয়েছিলেন। বৈঠক শুরুর আগে প্রায় আধ ঘণ্টা মমতা-সনিয়া গান্ধী দুই নেত্রী একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করেন। সূত্রের খবর তাঁরা একে অপরের স্বাস্থ্য সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেন। সম্প্রতি মমতার হাঁটু অপারেশন হয়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ রয়েছে সনিয়া গান্ধী।
এদিন মূল বৈঠক হয়েছিল প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সনিয়া গান্ধী একে অপরের পাশেই বসেছিলেন। সূত্রের খবর দুই নেত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস কীভাবে একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়ে কাজ করতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে হাঁটুর অপারেশনের জন্য মমতা বব্দ্যোপাধ্য়ায় সনিয়া গান্ধীর দেওয়া নৌশভোজে উপস্থিত হবেন না বলেও প্রথমে স্থির হয়েছিল। কিন্তু মমতা এদিন সনিয়ার দেওয়া নৈশভোজ এড়িয়ে যাননি। তিনি ভোজসভায় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কিছুই খাননি। মমতা নৈশভোজের সভা ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেও সেখানে থেকে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় ও ডরেক ওব্রায়ন।
অন্যদিকে বেঙ্গালুরুতে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে এই বিষয়ে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। পাশাপাশি তিনি বিরোধীদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিকেও একহাত নেন। তিনি বলেন, বিজেপি বর্তমানে পুরনো বন্ধুদের ফিরে পেতে মরিয়া চেষ্টা করছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বর্তমানে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন পুরনো বন্ধুদের ফিরে পেতে। তিনি বিরোধী পক্ষে ২৬টি দল রয়েছে। তারা দেশের ১১টি রাজ্যে ক্ষমতা দখল করে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
বেঙ্গালুরুতে মমতা-সনিয়ার সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিত, আধঘণ্টা ২ নেত্রীর একান্ত আলোচনা
মমতার তৃণমূলের সঙ্গে সিপিআই(এম)-এর জোট নিয়ে বার্তা, ২০০৪ সালের মডেলের উল্লেখ সীতারাম ইয়েচুরির