সংক্ষিপ্ত

বিলি করার জন্য শীতবস্ত্র নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেগুলি সভাস্থলে পৌঁছায়নি। তাতেই প্রকাশ্যে মেজাজ হারালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত জনতাকে বসিয়ে রেখে নিজে বসে রইলেন সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চে।

 

উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চে রীতিমত রেগে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে মমতা হাত নেড়ে বলেন, 'আপনারা বসে থাকুন। আমিও বসে থাকব।' বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সফরে রয়েছে। আর সেখানে স্থানীয় মানুষদের বিতরণের জন্য তিনি কম্বল ও শীতের পোশাক কিনেছিলেন। কিন্তু সেগুলি নির্ধারিত সময় অনুষ্ঠান মঞ্চে পৌঁছে দিয়ে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তাতেই রীতিমত ক্রুব্ধ হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চে বসেই রইলেন। তবে এই ঘটনায় রীতিমত বিড়ম্বনায় পড়েছে মঞ্চে উপস্থিত ও এলাকার সরকারি আধিকারিকরা।

সরকারি প্রকল্পের সুবিধে ও জাতি সংশাপত্র দেওয়ার জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিল স্থানীয় উপভোক্তরাও। কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতেই রীতিমত মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে বলেন, 'আমি স্থানীয়দের জন্য ১৫০০০টি শীতবস্ত্র , কম্বল এনেছি? সেগুলি কোথায় রেখেছেন?এগুলি অবিলম্বে আমার কাছে নিয়ে আসুন। যতক্ষণ না আপনি সেগুলি পান আমি এখানেয়ই অপেক্ষা করব।' এখানেই শেষ না করে তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যেও বলেন তিনি আসবেন বলে স্থানীয়দের জন্য কিছু শীতবস্ত্র নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু সেগুলি সভাস্থলে না পৌঁছানোয় রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন 'এজাতীয় কাজে তার গা জ্বালা করে।'

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্থানীয় প্রশাসনের এই গাফিতলির জন্য জেলা শাসক ও ব্লক ডেভলপমেন্ট আধিকারিকদের রীতিমত সতর্ক করেন। তিনি বলেন, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না হলে তিনি কড়া ব্যবস্থা নেবেন। সূত্রের খবর শীতবস্ত ও কম্বল ছিল স্থানীয় বিডিও অফিসে। আর সেখান থেকে প্রায় ১৫ মিনিট পরে সভাস্থলে নিয়ে আসা হয় সেগুলি। তারপর মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন তিনি ১০০০ হাজার শাল বিতরণ করবেন।

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টার করে হিঙ্গলগঞ্জ পৌঁছেছিলেন। সেখানে স্থানীয় একটি মন্দিরে বনবিবির কাছে পুজো দেন। একটি গাছও রোপন করেন। সুন্দরবনে প্রতি বছর ঘুর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের মত ঘটনা ঘটছে। যা নিয়ে রীতিমত উদ্বোগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। গোটা বিষয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান থাকলে ভাল হত বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনি বনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জে যাবেন। সেখান থেকে বুধবার তিনি সজনেখালিতে যাবেন বলেও সরকারি সূত্রের খবর।

আরও পড়ুনঃ

অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে হস্তশিল্প মেলায় গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কথা বললেন শিল্পীদের সঙ্গে

অভিষেকের সভার আগেই পূর্ব মেদিনীপুরে জনসভা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের, চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন শুভেন্দুকে

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তিতে রাজ্য, দুরায়ে রেশন পুনরায় চালু করার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের