সংক্ষিপ্ত
পূর্ব মেদিনীপুরের জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর তীব্র সমালোচনা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগেই রাজীবের সভা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগেই পূর্ব মেদিনীপুর থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নাম না করেই শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি নিজের দল ছাড়ার প্রসঙ্গেও তুলে আনেন। তিনি বলেন তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একসঙ্গে দল ছেড়েছিলেন। কিন্তু তাঁর দল ছাড়া ছিল ঐতিহাসিক ভুল। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বুকে আঁকড়েই দল ছেড়েছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু বেইমান বলেও মন্তব্য করেন রাজীব। পাশাপাশি তিনি বলেন আজ ভারতীয় জনতা পার্টি যাকে নেতা করেছে তার জন্য অবদান রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি আরও বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার রাগারাগির মূল কারণ ছিল ইনি। এঁকে (শুভেন্দু অধিকারী) নিয়েই যত মান অভিমান, রাগারাগি। কারণ একটা সময় আমাদের মুখের খাবার কেড়ে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এঁকে দিয়েছেন।'
এখানেই শেষ করেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুভেন্দুর 'তোলামূল' মন্তব্যেরও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এই পার্টি যদি না থাকত তাহলে শুভেন্দু আজ বিরোধী দলনেতা হত না। যাইহোক পূর্ব মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে সুর ছড়িয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন। পাশাপাশি তিনি মোদী সরকারের নীতি জনবিরোধী বলেও অভিযোগ করেন। বলেন, 'মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতি আর বাংলার মানুষের চাহিদার প্রতি উদাসীনতা আমাদেরকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ' গতকালও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের নন্দীগ্রামের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকেও তিনি শুভেন্দুর সমালোচনা করেন। বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমৃত্যু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। কারণ কালই শুভেন্দু ঠাকুরনগর থেকে মমতাকে নিশানা করে বলেছিলেন তিনি জানেন কী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করতে হয়।
অন্যদিকে আগামী ৩ ডিসেম্বর কাঁথিকে একটি জনসভা করবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রের খবর অধিকারীদের দূর্গ থেকেই তিনি রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু করবেন। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জনবিরোধী নীতির অভিযোগ তুলে ভগবানপুরেও একটি প্রচার মিছিল করবেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। যার অর্থ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের মূল প্রতিপক্ষ হিসেবে বিজেপিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগে পূর্ব মেদিনীপুরে একের পর এক জনসভায় করে অভিষেকের সভার ভিত আরও শক্ত করছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তেমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুভেন্দু অধিকারীর কিছু পরেই তৃণমূল ছেড়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও শুভেন্দুর মতই বিজেপিতে গিয়েছিলেন। প্রার্থী হলেও জিততে পারেননি। যাইহোক বিজেপি এখন অতীত। ঘাসফুল শিবিরে ফিরে এলেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিত্ব ফিরে পাননি। ত্রিপুরা-সহ একাধিক এলাকার দলীয় সংগঠনের দায়িত্ব রয়েছেন তিনি। দলের একাংশ প্রথমে মনে করেছিলেন তাঁকে ত্রিপুরার দায়িত্ব দিয়ে রাজ্যের বাইরে রাখা হবে। কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু রাজীবকে এই রাজ্যে ফিরিয়ে আনছে বলেও মনে করছে দলের একাংশ।
আরও পড়ুনঃ
গুজরাটের কংগ্রেস-আপ-কে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে বিজেপি, বললন এই সংস্থার নির্বাচনী সমীক্ষা রিপোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তিতে রাজ্য, দুরায়ে রেশন পুনরায় চালু করার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
কাল নতুন দুটি জেলার কথা ঘোষণা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তিন দিনের সুন্দরবন সফর মুখ্যমন্ত্রীর