Canning TMC News: অবৈধ নির্মাণ ঘিরে ফের শাসক শিবিরের দাদাগিরি। বাচ্চাদের পার্ক ভেঙে অবৈধ নির্মাণ করার  অভিযোগ। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Canning TMC News: শাসক দলের কাউন্সিলর এর পিএ-র দাদাগিরি। মহেশতলায় সরকারি টাকায় তৈরি শিশুদের পার্ক ভেঙে অবৈধ নির্মাণ। প্রতিবাদ করলে মহিলাদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের মহেশতলা পৌরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেমানপুর কালীতলা সরদার এলাকায়, কালীতলা উন্নয়ন সমিতির একটি দেবত্ব সম্পতিতে( CPIM)এক্স কাউন্সিলর দীপক ভট্টাচার্যের উদ্যোগে গত ২০ বছর আগে বাম আমলে সংসদ তহবিল ও মহেশতলা পৌরসভার সরকারি টাকায় বাচ্চাদের জন্য নির্মিত পার্ক তৈরি করা হয় ও শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে পুরো বাউন্ডারি দেয়া হয় ।

স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ, এলাকায় অবৈধভাবে পার্কটিকে ভেঙে প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে একটি অবৈধ নির্মাণ তৈরি করছে । সেই সময় স্থানীয়রা বাঁধা দেয় বিক্ষোভ প্রতিবাদ করলে কাউন্সিলর এর পিএ (পলাশ সর্দার ) ও তার অনুগামীরা অশ্লীল ভাষায় মহিলাদের আক্রমণ করেন আর ক্ষমতার ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে চলছে বেআইনি নির্মাণ। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও বন্ধ হয়নি বেআইনি নির্মাণ। তাদের অভিযোগ, পৌরসভা থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। প্রশাসন নির্বিকার।

তবে এই ঘটনায় ২৪ নম্বর তৃণমূল কাউন্সিলর তারক সাহা বলেন, ‘’না না আমার পিএ কেউ নেই আমি যেটুকু জানি ক্লাব তার নিজস্ব জায়গায় একটি বাথরুম করছে। তারা বিভিন্ন সময় সামাজিক গাড়ির সঙ্গে যুক্ত থাকে উল্টে ক্লাবের জায়গা অন্যজনেরা দখল করে আছে আমি কাউন্সিলর হবার পর থেকে আমি দেখেছি কোন পার্ক ছিলনা ফাঁকা জায়গা ছিল বাউন্ডারি দিয়া ক্লাব তার নিজস্ব জায়গায় করছে ।'' 

প্রাক্তন CPIM কাউন্সিলর দীপক ভট্টাচার্য অভিযোগ করে বলেন, ‘’আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি পৌরসভার চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন। তবে কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় পলাশ সরদার সরকারি সম্পত্তির উপরে ইট বালি পাথর রেখে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা।''

অন্যদিকে, পুজো উৎসবের ঠিক আগে বড় সাফল্য পেল ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। বিশেষ অভিযানে এক কোটি টাকারও বেশি মূল্যের অবৈধ নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে এক লরি চালক।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর আসে কলকাতা থেকে বিপুল পরিমাণ শব্দবাজি ধূপগুড়ি ও বীরপাড়া উদ্দেশ্যে আনা হচ্ছে। সেই খবরের ভিত্তিতে পৌর বাস টার্মিনাস সংলগ্ন সার্ভিস রোডে নজরদারি চালায় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। সন্দেহ হওয়ায় একটি প্লাস্টিক ঢাকা লরিকে আটক করা হয়।

তল্লাশি চালাতেই চোখ কপালে উঠে যায় পুলিশ আধিকারিকদের। লরিটি ভর্তি ছিল কোটি টাকারও বেশি মূল্যের নিষিদ্ধ শব্দবাজি। গাড়িতে থাকা চালককে নথি দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপরই গাড়ি ও বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং চালক দীনেশ যাদবকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি নদিয়ার হরিণঘাটায়।

ধূপগুড়ি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গেইলসন লেপচা সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযানে নামা হয়েছিল। তল্লাশিতে এক কোটি টাকারও বেশি মূল্যের নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া লরি চালককে আদালতে তোলা হবে এবং রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর পিছনে আর কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

পুজোর আগে এভাবে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি ধরা পড়ায় কড়া নজরদারির পাশাপাশি প্রশাসনকেও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছেন স্থানীয়রা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।