সংক্ষিপ্ত

সধবাকে বিধবা বানিয়েই মাসে মাসে মিলছে ১০০০ টাকা! তৃণমূল নেতার জালিয়াতি দেখে চক্ষু চড়কগাছ

সধবা মহিলাকে বিধবা সাজিয়ে ভাতা পাইয়ে দিলেন তৃণমূল নেতা! এমনই অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। এর জেরে রীতিমতো জেল খাটার উপক্রম হয়েছে তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী-র। রোজ চক্কর কাটতে হচ্ছে পুলিশ স্টেশনের। শুধু তাই নয়, আতঙ্কে ঘুম উড়েছে পরিবারের সদস্যদের।

নিজেদের লোককে টাকা পাইয়ে দিতে জীবন্ত মানুষকেও মেরে ফেলছে তৃণমূল বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি সরকার।

ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের আড় পাড়ায়। বছর কয়েক আগে স্থানীয় তৃণমূল নেতা উত্তম দেবনাথ , গ্রামেরই এক মহিলা শেফালি দে-কে বেশ কিছু কাগজপত্রে সই করানোর পরে তাঁর অ্যাকাউন্টে মাসে মাসে ১০০০টাকা করে ঢোকে।

এই শেফালীদেবী হলেন তৃণমূল কর্মী পরেশ দে-র স্ত্রী। কিন্তু কোন প্রকল্পের মাধ্যমে এই টাকা পাচ্ছেন তা তাঁরা জানার চেষ্টা করেননি বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি বিডিও অফিস থেকে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে জানানো হয়েছে যে তিনি বিধবা ভাতা পাচ্ছেন। ওদিকে শেফালি দেবীর স্বামী দিব্যি বেঁচে রয়েছেন। ওড়িশায় শ্রমিকের কাজ করেন তিনি।

তাই স্বামী বেঁচে থাকতেও কেন তিনি বিধবা ভাতা আবেদন করেছেন তাই জানতে তাকে ডেকে পাঠায় বিডিও। টাকা ফেরত না দিলে আউনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এরপর শেফালি দেবীর বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পের অপব্যবহারের অভিযোগ দায়ের করা হয়।

ঘটনা জানাজানি হতে পরেশ দে-কে দলের লোক মানতে নারাজ অন্যন্য তৃণমূল কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানিয়েছেন, "নিজেদের লোককে পাইয়ে দিতে তৃণমূল জীবিত মানুষকে মৃত বলে ঘোষণা করতেও দুবার ভাবে না। তৃণমূল কর্মীরা ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আগে থেকে টাকা নিয়ে নিচ্ছেন। তার পর মরিয়া হয়ে এক প্রকল্পের জায়গায় অন্য প্রকল্পের টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা করছেন। এটাই চলছে রাজ্যজুড়ে।"