POCSO Case: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নাবালিকাদের উপর যৌন নির্বাতন চালানোর অভিযোগ উঠছে। জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতেও একই অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলায় কঠোর শাস্তির কথা ঘোষণা করল আদালত।

DID YOU
KNOW
?
পকসো আইনে কঠোর সাজা
নাবালিকাদের উপর যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে পকসো আইনে কঠোর সাজা দেওয়া হয়। জলপাইগুড়িতে এই আইনেই প্রৌঢ়ের ২৫ বছরের কারাদণ্ড হল।

Jalpaiguri News: ফুটবল খেলতে মাঠে যাওয়ার পথে নাবালিকাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে ২৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ি পকসো আদালত (Jalpaiguri POCSO Court)। এক বছরের মধ্যেই রায় ঘোষণা করল আদালত। জানা গিয়েছে, এটি ধূপগুড়ি থানা এলাকার ঘটনা। ওই নাবালিকা যখন ফুটবল খেলতে মাঠে যাচ্ছিল সেই সময় অভিযুক্ত প্রতিবেশী তার বাড়িতে নাবালিকাকে নিয়ে যায়। এরপর বাড়িতে ওই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালায়। পাশাপাশি সে নাবালিকাকে ভয় দেখায় যাতে বিষয়টি কাউকে না জানায়।

সন্তানের জন্ম দিয়েছে নাবালিকা

নাবালিকা ভয়ে প্রথমে কাউকে কিছু জানায়নি। কিন্তু এই ঘটনার প্রায় ছয়-সাত মাস পর নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব তার দিদি ও বাবা। এরপর ডাক্তার জানান নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা। এরপর পরিবারের সদস্যরা নাবালিকাকে চেপে ধরলে তাঁদের সম্পূর্ণ ঘটনার কথা জানায় নাবালিকা। এরপর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। এদিকে কিছুদিন পর নাবালিকা একটি সন্তানের জন্ম দেয়। পরবর্তীতে তদন্তকারী অফিসার নাবালিকা, তার সদ্যজাত সন্তান এবং অভিযুক্তের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠান। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে জমা হয়।

ধর্ষকের কঠোর সাজা

মোট নয়জন সাক্ষীর সওয়াল-জবাব শোনার পর এদিন বিচারক রিন্টু সুর আসামীকে ২৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, দুই লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। পাশাপাশি নির্যাতিতাকে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে আদেশ দেন। এ বিষয়ে পকসো আদালতের সরকারি সহকারী আইনজীবী দেবাশিস দত্ত বলেন, 'নাবালিকা এবং আসামীর বাড়ি পাশাপাশি। ঘটনার সময় নাবালিকার বয়স ছিল ১৬ বছর এবং আসামীর ৫০ বছর। আট মাসের মধ্যে রায় দিলেন বিচারক। নাবালিকা যে কী নিদারুন যন্ত্রণা ভোগ করেছেন এবং এখনও করছেন সে বিষয়টি বিচারক এদিন তুলে ধরেন।'

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।