- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- ৭ মাসের কন্যা সন্তানকে খুন করল মা! ৯ ঘণ্টা ধরে পুলিশকে 'ঘোল' খাওয়ালো নিহতের মা
৭ মাসের কন্যা সন্তানকে খুন করল মা! ৯ ঘণ্টা ধরে পুলিশকে 'ঘোল' খাওয়ালো নিহতের মা
দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে তল্লাশির পরই উদ্ধার হল ৭ মাসের শিশু। আলিপুরদুয়ারে শিশু খুনের তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

৭ মাসের শিশু খুন!
আলিপুরদুয়ার জংশনের দক্ষিণ চেচাখাতায় সাত মাসের শিশু কন্যা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় নয়া মোড়। দিন দুপুরে রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যায় একটি শিশুর। কিন্তু প্রায় ৯ ঘণ্টা খোঁজ খবরের পর উদ্ধার হয় শিশুটির নিথরদেহ। এই ঘটনায় পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পরই গ্রেফতার করে নিহত শিশুর মাকে। মা, পূজো দে ঘোষ অবশ্য খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ঘটনার সময়
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুপুর প্রায় ২টা ২০ মিনিট নাগাদ শিশুটিকে বিছানায় শুইয়ে রেখে স্নান করতে যান মা পূজা দে ঘোষ। সে সময় ঘরে উপস্থিত ছিলেন শ্বশুর। স্নান শেষে ফিরে এসে বিছানায় শিশুটিকে না দেখে হইচই শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় আলিপুরদুয়ার থানায়।
তল্লাশি অভিযান
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ ও জংশন আউট পোস্টের কর্মীরা। শুরু হয় ব্যাপক তল্লাশি অভিযান। স্নিফার ডগ ব্যবহার করা হলেও প্রথমে কোনো হদিস মেলেনি। সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখে পুলিশ। কিন্তু সূত্র মেলেনি। পুলিশ সূত্রের খবর, মহিলা ও পরিবারের সদস্যরা পুলিশকেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল।
সন্দেহ মায়ের ওপর
এরপর সন্দেহের তির যায় শিশুর মা’র দিকেই। রাত গভীর পর্যন্ত চলে জেরা। অবশেষে জেরার মুখে ফাঁস হয় আসল রহস্য। শুক্রবার রাত প্রায় ১২টা নাগাদ বাড়ির ২০০ মিটার দূরের একটি মাঠের জলাশয় থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ শিশুর দেহ।
খুনের কারণ
অফিসিয়ালভাবে পুলিশ এখনো কিছু জানায়নি, তবে অসমর্থিত সূত্রে খবর, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই মর্মান্তিক ঘটনা। শিশুটির মা পূজা দে ঘোষকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর কন্যা সন্তান হওয়ায় পরিবারে অশান্তি শুরু হয়েছিল। অন্যদিকে পুলিশ খতিয়ে দেখছে মহিলার মানসিক সমস্যা রয়েছে কিনা।
তদন্তে পুলিশ
ঘটনার তদন্তে ছিলেন এসডিপিও শ্রীনিবাস এম. পি। আজ অভিযুক্তকে আলিপুরদুয়ার আদালতে পেশ করা হবে। অন্যদিকে এই ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ প্রতিবেশিরা। তারা পূজাকে মারধর করার চেষ্টা করেন। যদিও পুলিশ নিরাপদেই পূজাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়।

