সংক্ষিপ্ত
ফলাফল দেখার পর নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বৃদ্ধ সামশের। তিনি জানতে পারেন যে, হাজার বা লক্ষ নয়, লটারির পুরস্কার বাবদ একেবারে এক কোটি টাকা পেয়ে গিয়েছেন তিনি। এই কথা জানার পরেই তাঁর মনে ভয় সঞ্চারিত হয়!
মুর্শিদাবাদে রেজিনগর থানার তকিপুর পশ্চিমপাড়ায় নিজের পরিবারবর্গের সঙ্গে থাকতেন বৃদ্ধ সামশের মল্লিক। তিন সন্তানকে নিয়ে কোনও রকমে বিড়ি বেঁধে রোজগার করে সংসার চালাতেন তিনি। তিনজনের মধ্যে একজন সন্তান শারীরিক দিক থেকে বিশেষভাবে সক্ষম, ফলত, প্রত্যেককে নিয়ে অভাবই সামশেরের জীবনে লেগেই থাকত টানাপড়েন। কিন্তু, সেই অভাবের মধ্যেই হঠাৎ করে একদিন যেন স্বপ্নের দুনিয়ায় পৌঁছে গেলেন প্রবীণ বিড়ি-শ্রমিক।
-
সন্তানদের ভবিষ্যতে কথা ভেবে চোখে ঘুুম আসত না মুর্শিদাবাদের সামশের মল্লিকের। প্রায় প্রত্যেক দিন লটারির টিকিট কাটতেন তিনি। সোমবার রাতেও দেড়শো টাকা খরচ করে লটারির টিকিট কেটেছিলেন তিনি। ওই টাকাটিও তিনি সেদিন দোকানদারকে নগদে দিতে পারেননি। ধার করে টিকিট কেটেছিলেন। রাত আটটায় প্রকাশ হয় লটারির ফলাফল। সেই ফলাফল দেখার পর নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না সামশের। তিনি জানতে পারেন যে, হাজার বা লক্ষ নয়, লটারির পুরস্কার বাবদ একেবারে এক কোটি টাকা পেয়ে গিয়েছেন তিনি। এই কথা জানার পরেই তাঁর মনে ভয় সঞ্চারিত হয়!
-
লটারি জিতেছেন বুঝতে পেরেই দৌড়ে স্থানীয় থানায় চলে যান বৃদ্ধ সামশের মল্লিক। সুরক্ষার জন্য থানার পুলিশকর্মীদের সাহায্য প্রার্থনা করেন তিনি। তিনি জানিয়ে দেন যে, যতখানি টাকা তিনি পাবেন, ভবিষ্যতে তা থেকে সৎ পথে টাকা উপার্জন করবেন। নিজের সন্তান এবং পরিবারের ভবিষ্যৎ যাতে উজ্জ্বল হয়, তার জন্য এই অর্থ ব্যবহার করবেন।
-
শুধু তাইই নয়, ভবিষ্যতে আর কোনওদিনও লটারির টিকিট কাটবেন না বলে শপথ নিয়েছেন বৃদ্ধ। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘লটারির নেশা আর রাখতে চাই না। আগে বহু টাকা খুইয়েছি। তবে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাব, এটা ভাবিনি। এই টাকা সন্তানদের দিয়ে দেব। ওদের ভালো হোক, এটাই একমাত্র প্রার্থনা। আর কোনওদিন জীবনে লটারির টিকিট কাটব না।’
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।