সংক্ষিপ্ত
রাজ্য সরকার একটি মেমো বা বিজ্ঞপ্তি ফাঁস হয়েছে। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিটি ১৭ সেপ্টেম্বরের। উল্লেখ ছিল ডিভিসির জল ছাড়ার কথা।
রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য দূরত্ব ক্রমশই বাড়ছে। রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর থেকেই রাজ্য সরকার সব দায় দামোদর ভ্যা কর্পোরেশনের বা DVC-র ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন, ডিভিসি রাজ্যকে না জানিয়েই জল ছেড়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের চিঠি বলছে অন্য কথা।
রাজ্য সরকার একটি মেমো বা বিজ্ঞপ্তি ফাঁস হয়েছে। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিটি ১৭ সেপ্টেম্বরের। সেখানে হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার জেলা শাসকদের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আগাম সতর্কতা জারি করে সতর্ক করেছে রাজ্য সরকার। ডিভিআরআরসি এবং সিডব্লিউসি জানিয়েছে, আবহাওয়ার কারণে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারে জলস্তর দ্রুত বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ডিভিআরসি আড়াই লক্ষ কিউসেক জল ছাড়বে। তার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে মোকাবিলা করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। সরাকারি চিঠিতে বলা হয়েছে নিচু এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ারও।
যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ডিভিসির এই জল ছাড়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি নয় দুটি চিঠি লিখেছেন। ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও বলেছেন। তিনি ডিভিসি থেকে রাজ্যের দুই প্রতিনিধিকে সরিয়ে নিয়েছেন। রবিবারই ডিভিসির বোর্ড থেকে ইস্তফা দেন রাজ্যের বিদ্যুৎ সচিব শান্তনু বসু। ডিভিসির কমিটি থেকে উস্তফা দেন রাজ্যের প্রতিনিধি তথায় সেচ দফতরের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার । ডিভিসি থেকে রাজ্যের প্রতিনিধিদের সরিয়ে নেওয়ার কথা আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই পরিস্থিতিতে ডিভিসি বারবার দাবি করেছে ডিভিসি সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই জল ছাড়ে। প্রত্যেকটি রাজ্যকে জানান হয় কখন কতটা পরিমাণ জল ছাড়া হবে। রাজ্যের এই মেমোও ডিভিসির বক্তব্যকেই সায় দিচ্ছে। ডিভিসির ছাড়া জলে বানভাসি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। পূর্বমেদিনীপুর, হাওড়া-সহ একাধিক জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা রয়েছে জলের তলায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য সরকার আগেই ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সিল করে দিয়েছিল দুই রাজ্যের সীমানা। যার কারণে একাধিক সড়কে দেখা দিয়েছিল পণ্যবাহী গাড়ির সারি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।