সংক্ষিপ্ত
আদালতে যাওয়ার পথে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন কেউ তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। যা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি নেতারা নিজেদের মতামত জানিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দলের কেউ কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। আদালতে যাওয়ার পথে বলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বর্তমানে তিনি জেলবন্দি। দল তাঁকে একাধিক পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পার্থ যে এখনও দলের আনুগত্য পাওয়ার চেষ্টা করছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সোমবার আদালতে যাওয়ার পথে সাংবাদিকরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শুভেন্দু অধিকারীর দাবির বিষয়ে তাঁর মতামত জানতে চেয়েছিল। কারণ শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন ডিসেম্বর মাস থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পতন শুরু হবে। কড়া হবে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। সেই প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও ক্ষতি কেউ করতে পারবে না। কেউ তৃণমূল কংগ্রেসের অগ্রগতি আটকাতে পারবে না। ' পার্থ চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে জেল বন্দি। স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তাঁর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিতের ফ্ল্যাট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্ত করছে সিবিআই।
২৩ জুলাই এসএসসি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল কংগ্রেস দলের সমস্ত পদ ও মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেই পার্থর এই মন্তব্য দলীয় নেতৃত্বের আনুগত্য পাওয়ার জন্য বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও পার্থর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শাংসাপত্র প্রয়োজন নেই তৃণমূল কংগ্রেসের। তিনি আরও জানিয়েছেন, পার্থর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।
কুণাল ঘোষ এদিন শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত ঘোষের মন্তব্যেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, শুভেন্দু সুকান্তের মত নেতাদের কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। 'তারা খবরে থাকার জন্য এজাতীয় মন্তব্য করেন। বাংলার মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে। ' এই মন্তব্যও করেন কুণাল ঘোষ। অন্যদিকে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন স্কুল সার্ভিস কনিশনের উপদেষ্টা এসপি সিনহা ও এই মামলার সঙ্গে জড়িতরা সকলেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ অনুসরণ করছেন। পার্থ সর্বদাই দলের কর্মসূচি মেনে চলেন। তাই এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে তিনি তৃণমূল নেতাদের সুরেই সুর মিলিয়ে কথা বলছেন। '
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। সেই সময় সরকারি ও সরকার সাহায্যপ্রাক্ত স্কুলে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যে যখন বিক্ষোভ হয় তখন পার্থকে সরিয়ে দেওয়া হয় শিক্ষা দফতর থেকে। শিক্ষা মন্ত্রী হন ব্রাত্য বসু। গ্রেফতারের সময় পার্থ শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রী ছিলেন। দলেরও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ
'মেঘালয়ের মানুষের হাসি মুখ আমার মনে থাকবে চিরকাল', বললেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সকেত গোখলে ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল, কাল যাবে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল