Madhyamgram Bomb Blast Case: স্কুলের মাঠে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ! বড়সড় কোনও নাশকতার ছক? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Madhyamgram Bomb Blast Case: স্কুলের সামনে বোমা বিস্ফোরণ। উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যমগ্রাম হাইস্কুলের সামনে। জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রাম হাই স্কুলের গেটের সামনে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার মাঝরাতে এক ব্যক্তি স্কুলের সামনের একটি মাঠে হাতে বোমা নিয়ে বসেছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর হাতে বোমাটি ফাটে। আওয়াজ শুনে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। ওই ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। দ্রুত সেখানে পৌঁছয় বোম ডিস্পোজাল টিম।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির নাম সচিদা নন্দ মিশ্রা (২৫)। তিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। রবিবার রাত ১টা নাগাদ মধ্যমগ্রাম হাই স্কুলের গেটের সামনে জলকল্যাণ মাঠের উল্টো দিকে রবীন্দ্র মুক্ত মঞ্চের একটি বেঞ্চে বসেছিলেন সচিদা নন্দ। জানা গিয়েছে, সে সময়ে তাঁর হাতে বোমা ছিল। বোমাটি সচিদা নন্দর হাতে ফাটার পরেই তিনি গুরুতর জখম হন। তাঁর দুটো হাত ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মারা যান তিনি।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যে ব্যাগ উদ্ধার করেছেন তাতে মোবাইলের চার্জার, কিছু ইলেকট্রনিকস জিনিসপত্র এবং জামাকাপড় পাওয়া গিয়েছে। তবে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশের পাশাপাশি এস ডিপিও বারাসত বিদ্যাগর অজিঙ্কা অনান্ত এসে পৌঁছন। সেই সঙ্গে সেখানে পৌঁছেছেন বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতীশ বিশ্বাস। তবে এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু কী কারণে ওই ব্যক্তি বোমা হাতে নিয়ে সেখানে বসেছিলেন তা এখনও জানা যায়নি। অতীশ বিশ্বাস বলেছেন, ‘এখনই আমরা বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
অন্যদিকে, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত এক কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু! অফিস থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ির হাকিমপাড়ায়। মৃতের নাম রাহুল ঝাঁ (২৮)। শনিবার রাতে ওই সেন্টারের একটি কক্ষে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন ওই কর্মী। তাঁদের দাবি, এই মানসিক চাপই যুবককে চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে। তাই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন মৃতের পরিবার। সিসিটিভি ফুটেজ দেখার কথা বলছেন তাঁরা।
ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারাও। রবিবার রাতেই মৃত কর্মীর পরিবারের সদস্যরা ও প্রতিবেশীরা ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ দেখান। যদিও ততক্ষণে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তালা পড়ে গিয়েছে। কর্তৃপক্ষেরও কাউকে দেখা যায়নি। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে সেন্টার সিল করে দিয়ে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ সত্যি কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


