সংক্ষিপ্ত
গোটা ঘটনার জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বকে দায়ী করেছেন তিনি। প্রদেশ এবং এআইসিসি নেতৃত্ব বার বার কী ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলকে বারবার সাহায্য করেছে সেই প্রসঙ্গ তুলে বেশ কিছু ঘটনাকে উদাহরন হিসেবে তুলে ধরেছেন।
গ্রেফতার হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জামিন পেলেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচী। আইনজীবীর গ্রেফতারির বিরোধিতায় সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এই মর্মে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্টও করেন তিনি। কিন্তু এর মধ্যে কংগ্রেস নেতৃত্বকে খোঁচা দিয়ে তিনি লেখেন,' আজ যা হলো তা কংগ্রেসের তৃণমূলের প্রতি "ধরি মাছ না ছুঁই পানি" সম্পর্কের জন্য।' এই প্রসঙ্গে উদাহরণ স্বরূপ বেশ কিছু ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এদিন ফেসবুক পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন,'কলকাতা হাইকোর্টের সুপরিচিত আইনজীবী ভাতৃপ্রতিম কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে মাঝরাতে মমতা পুলিশের হানা দেওয়া ও বেআইনি গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা জানাই।কৌস্তভ অবশ্যই এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এক প্রতিবাদী কণ্ঠ, তার গ্রেফতারি হল পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী কণ্ঠকে দমন করার এক অপচেষ্টা।' পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,'যদি কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা গ্রেফতারির কারণ হয় তবে আগে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত দেশের সম্মানীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বারংবার তুই তোকারি করে ব্যক্তিগত কুরুচিকর শব্দবন্ধ প্রয়োগ করার জন্য।'
এখানেই শেষ নয়, গোটা ঘটনার জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বকে দায়ী করেছেন তিনি। প্রদেশ এবং এআইসিসি নেতৃত্ব বার বার কী ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলকে বারবার সাহায্য করেছে সেই প্রসঙ্গ তুলে বেশ কিছু ঘটনাকে উদাহরন হিসেবে তুলে ধরেছেন। প্রথমেই তিনি লিখেছেন,'মেট্রো ডেয়ারির মালিকানাধীন সংস্থা কেভেন্টারের হয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে মামলা লড়তে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টে আসেন কংগ্রেসের বরিষ্ঠ কেন্দ্রীয় নেতা পি চিদাম্বরম।' পরবর্তী উদাহরণের মধ্যে তিনি উল্লেখ করেছেন,'DA মামলায় রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের পক্ষে সওয়াল করছেন কংগ্রেসের সাংসদ-আইনজীবী ডঃ অভিষেক মনু সিংভি।হয়তো কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা ডঃ অভিষেক মনু সিংভি কে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার সদস্য করতে তৃণমূল বিধায়করা যে সমর্থন করেছিলেন তার প্রতিদান দিচ্ছেন। এছাড়া কেষ্ট মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা রুখতে ও জামিন করাতে মহামান্য দিল্লি হাইকোর্টে বুক চিতিয়ে লড়ছেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা কপিল সিব্বল।সর্বশেষে আমার কাছে নন্দীগ্রামে ১৯৫৬ ভোটে হেরে মাননীয়া যখন ভবানীপুরে নির্বাচনে লড়তে গেলেন তখন কংগ্রেস সমর্থনসুচক ভাবে প্রতিনিধি নামালেন না নির্বাচনে।'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগে শুক্রবার রাতে অভিযোগ দায়ের হয়। আর শনিবার ভোররাতে পুলিশ তাঁর ব্যারাকপরুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে কংগ্রেস নেতাকে। বিরোধীদের অভিযোগ এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ 'অতিসক্রিয়' ভূমিকা গ্রহণ করেছে। যাইহোক কৌস্তুভের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল। আইএসএফ-এর নওসাদ সিদ্দিকিও কৌস্তুভের পাশে রয়েছে বলে জানিয়েছেন। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচীর পাশে থাকার বার্তা দিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। শনিবার নওশাদ সিদ্দিকি ছাড়া পাওয়ার কয়েক ঘন্টা আগেই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয় কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে। শুক্রবার রাতেই তাঁর বারাকপুরের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। শনিবার সকালেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ হুমকি ও অশান্তি ছড়ানোর দায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও কংগ্রেস নেতার দাবি তাঁকে 'বিনা কারণে' গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক। শনিবার জেল থেকে বেরিয়েই এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,'আমি জানি না ঠিক কী কারণে আইনজীবী কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তিনি যদি সংবিধানের মধ্যে থেকে কিছু বলে থাকেন তবে আমি তাঁর পাশে রয়েছি। তাঁর জন্য গলা ফাটাব।'
আরও পড়ুন -
কংগ্রেসের কৌস্তুভের গ্রেফতারির বিরোধিতা তৃণমূলের কুণালের, বললেন 'বুঝেনিত ছাত্রযুবরা'
'পাশে আছি' জেল থেকে ছাড়া পেয়েই আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচীর পাশে থাকার বার্তা দিলেন নওসাদ
অবশেষে জামিন মঞ্জুর, হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলে কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচী