সংক্ষিপ্ত
পাঁচলায় ভোটের পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তিনি নিজে পাঁচলায় গিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন।
'আমাদের মেয়েরাও ক্ষরতা (বিপদের)র মধ্যে রয়েছে।' পাঁচলায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের কথা বলতে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, এই রাজ্যে মেয়েদের ওপর একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। পঁচলার ঘটনার কথাও বলেন তিনি। সেখানেও ভোট পরবর্তী হিংসায় মহিলা নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। মণিপুর ইস্যুতে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তাই নিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন,'গোটা রাজ্যে আমাদের মেয়েরা বিপদের মধ্যে রয়েছে। মণিপুর নিয়ে মমতা কথা বলছেন। কিন্তু এই রাজ্যের মহিলাদের মান সম্মান নেই। মহিলাদের নিরাপত্তা নেই। কিন্তু সে আবার বড় বড় কথা বলে!'
পাঁচলায় ভোটের পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তিনি নিজে পাঁচলায় গিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন পাঁচলায় বিজেপির বুথ প্রেসিডেন্টকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তার ময়না তদন্ত হয়নি। পুলিশ জোর করে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ এফআইআর নিচ্ছিল না বলেই তিনি এসেছেন। শুভেব্দু বলেন, আদালতে নিয়ে রাজ্যের বিজেপি নেতা কর্মী আর সমর্থকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ব্যবস্থা করবে তাঁর দল। গোটা বিষয়টি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিন ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীরা দিল্লি অভিযানের ডাক দিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে কড়়া জবাব দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মমতা ও অভিষেকের দিকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, মমতা বা অভিষেক দিল্লি পার হতে পারবেন। তিনি আরও বলেন দিল্লি পুলিশ অমিত শাহের অধীনে। সেখানে মমতার পুলিশের কাজ করে না! রীতিমত কড়াভাবেই আক্রমণ করেন শুভেন্দু।
শুভেন্দু হাওড়ায় ভোট সন্ত্রাস নিয়ে একাধিকবার উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তিনি আমতায় গিয়েছিলেন। তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ ছিল তাঁর। শনিবার দলীয় কর্মী সমর্থকদের পাশে দাঁড়াতে হাওড়ায় যান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে গিয়েই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের দাবি জানান। একই সঙ্গে পুলিশকেও গ্রেফতারের দাবি জানান। বিষয়টি নিয়ে আইনি লড়াইয়েরও হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আরও বলেন আক্রান্তদের হাইকোর্টে নিয়ে যাবেন তিনি। দলের পক্ষ থেকেই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।
শুভেন্দু অভিযোগ করে বলেন, বিজেপির নেতা কর্মীদের টার্গেট করা হচ্ছে। দলের কর্মী সমর্থকদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ বিরোধী বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। পাঁচটি বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। ৬টি দোকানে লুঠপাট চালিয়েছে। শুভেন্দু আরও বলেন, তৃণমূল আরও একটা বগটুই করতে চেয়েছিল। ছাড় নেই শিশুকন্যাদেরও। শুভেন্দুর অভিযোগ পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। পুলিশের কাছে গেলে প্রথমে অভিযোগ নেওয়া হয়নি। পরে তিনি গিয়ে জোর করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।