সংক্ষিপ্ত

মালদায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে পিটিয়ে খুন। অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। পাল্টা কংগ্রেসের দাবি তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দের জের।

 

মালদার সুজাপুরে পঞ্চায়েত প্রার্থী তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও খুন করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনির সময়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। সেই সময়ই খুনের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। গত এক সপ্তাহে এই নিয়ে ভোটের বলি ৬।

নিহত ব্যক্তি মোস্টাফা শেখ। স্থানীয় সূত্রের খবর তৃণমূল কংগ্রেস মোস্তাফাকে সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের টিকিট দিয়েছিল। শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি বাড়ি ফিরছিলেন সাইকেল করে। সেই সময় স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরা বাঁশ , লাঠি, লোহার রড নিয়ে চড়াওহয় মোস্তাফার ওপর। মাটিতে ফেলে ব্য়াপক মারধর করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে দ্রুত মালদা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সুজাপুরে। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা প্রতিবাদের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনার রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন সরাসরি অভিযোগ তোলেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেছে বেছে টিকিট দেয়ওয়া হয়েছে। তাতে অনেকেই টিকিট পায়নি। যারা তৃণমূলে থেকে দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছিল তাদের টিকিট দেওয়া হয়নি। প্রতিবাদে তৃণমূলের অনেকেই দল ছেড়ে কংগ্রেস যোগ দিয়েছে। তাদেরই একাংশ প্রতিবাদ নিয়েই শনিবার দুপুরে মোস্তাফাকে পিটিয়ে খুন করেছে। তাঁর আরও অভিযোগ এই ঘটনায় পূর্ণ মদত রয়েছে কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বের। পাল্টা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী বলেন, মালদায় তৃণমূল নেতা তৃণমূলেক গোষ্ঠী দ্বন্দের ফল। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ রুখতেই রাজ্য সরকারের উচিৎ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো।

পঞ্চাতে ভোটকে কেন্দ্র করে ক্রমশই উত্তপ্ত হচ্ছে রাজ্যের পরিবেশ। এই নিয়ে এপর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ভোটের হিংসায়। যারমধ্যে দুই জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। যদিও রাজ্য প্রশাসন মানতে নারাজ এই হিংসার কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার পর্যন্ত দাবি করেছেন রাজ্যের মনোনয়ন পর্ব ছিল রীতিমত শান্তিপুর্ণ। কিন্তু মনোনয়ন পর্বের যে অশান্তি শুরু হয়েছিল তার আঁচ বর্তমানে লেগেছে মননোনয়নপত্র পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে। সেখানেই যুযুধান রাজনৈতিক দলগুলি একের পর এক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। এদিন সকালেই ক্রুটিনি ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছিল দিনহাটা। সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।