হাসপাতাল অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, ‘গলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছিল ওই যুবকের । তার শারীরিক অবস্থা দেখে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। অপরেশনের প্রস্তুতি যখন নিচ্ছিলেন চিকিৎসকরা তখনই ‌ওই রোগী হঠাৎই বিছানা থেকে উঠে পড়েন ।

অপরেশন থিয়েটারে যেন বেধে গেল রক্তারক্তি কাণ্ড। অপরেশেনের ঘরেই চিকিৎসককে কাঁচি দিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠল রোগীর বিরুদ্ধে। চোখের সামনে হঠাৎ করেই ওই দৃশ্য দেখে ভয়ে কাঁপতে থাকলেন নার্সেরা। রোগীর হাত থেকে ওই চিকিৎসককে বাঁচিয়ে সরিয়ে দেন অনান্য সহকর্মীরা। আহত চিকিৎসককে আপাতত ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে খবর মিলেছে হাসপাতাল সূত্রে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধে নাগাদ বহরমপুর থানা এলাকায় এক যুবকের উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা হতেই তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। হাসপাতাল অধ্যক্ষ অমিত কুমার দাঁ জানিয়েছেন, ‘গলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছিল ওই যুবকের । সেই কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতেই তার শারীরিক অবস্থা দেখে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। অপরেশনের প্রস্তুতি যখন নিচ্ছিলেন চিকিৎসকরা ঠিক তখনই ‌ ওই রোগী হঠাৎই বিছানা থেকে উঠে পড়েন । সবাই কিছু বুঝে ওঠার আগেই অপারেশন টেবিলের ট্রেতে রাখা একটি কাঁচি তুলে নিয়ে একজন চিকিৎসকের দিকেই চালিয়ে দেন। আর রোগীর এই অতর্কিত হামলায় চিকিৎসক দেবব্রত পালের গালে ক্ষত হয়ে যায়। হাসপাতালেই দ্রুত তাঁর চিকিৎসা করে ওই চিকিৎসককে আপাতত বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে ওই রোগীকে একাধিক ওষুধ দিয়ে আপাতত শান্ত করে চিকিৎসা চলছে।’‌

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আহত ওই যুবক আসলে ‘‌বাইপোলার ডিসঅর্ডার’‌ সহ আরও একাধিক অসুখে ভুগছে দীর্ঘদিন ধরে । গত কয়েক বছর ধরে ওই যুবক ‘‌মানসিক’‌ভাবে ঠিক না থাকলেও তার চিকিৎসা করা হয়নি। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘‌প্রাথমিকভাবে আমাদেরও মনে হয়েছে মানসিকভাবে স্থিতিশীল নয় আহত ওই যুবক। সুতরাং আমাদের আগে দরকার অসুস্থ ওই রোগীকে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো।’‌ তবে অপরেশন থিয়েটরের মধ্যে এই ঘটনায় শিউরে উঠছেন হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।