সংক্ষিপ্ত

বিশ্বভারতীর তরফে বলা হয়েছে, মেলা সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় বোলপুর মহকুমা প্রশাসনকে বহন করতে হবে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বা শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট কোনও ব্যয় বহন করবে না।

করোনা সংক্রমণের জেরে গত ৩বছর ধরে বন্ধ ছিল শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা। তবে এবার কিছু জটিলতা থাকায় মেলা হবে না বলে জানিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে একে অপরের সহযোগিতা নিয়ে এই মেলার আয়োজন হবে। তবে পৌষমেলা নয়, অন্য একটি পৌষমেলা হবে পূর্বপল্লীর মাঠে। বিশ্বভারতীর তরফে প্রেস বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মেলার মাঠে মেলা হলেও বেশ কিছু শর্ত মানতেই হবে। যদিও বিশ্বভারতী বলছে এগুলিকে শর্ত না ভেবে বিশ্বভারতীর ‘অতীতের অভিজ্ঞতাজনিত উদ্বেগ’ বলে মনে করলে ভাল হয়।

জানা গিয়েছে বিশ্বভারতীর তরফে বলা হয়েছে, মেলা সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় বোলপুর মহকুমা প্রশাসনকে বহন করতে হবে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বা শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট কোনও ব্যয় বহন করবে না। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, এই মেলায় যেহেতু হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। সিংহভাগ মানুষই আসেন বাইরে থেকে। তাই মেলা চলাকালীন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, অধ্যাপক অধ্যাপিকা, কর্মী-সহ সামগ্রিক নিরাপত্তার দিকটি সুনিশ্চিত করতে হবে।

উল্লেখ্য, পরিবেশ আদালত যে শর্ত দিয়েছে, তা মানতে হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যেহেতু বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এই বছর পৌষমেলার আয়োজন করছে না, তাই কোনওরকম আইনি জটিলতা তৈরি হলে তার দায়ভার নিতে হবে জেলা প্রশাসনকেই বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতীর সংস্কৃতি মেনে করতে হবে মেলা। বিশ্বভারতীর নিয়ম অনুযায়ী মেলা হবে ৪ দিন। ৫ দিনের মাথায় মেলার মাঠ সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। ঠিক যেমন রায় দিয়েছে পরিবেশ আদালত।

এদিকে, ৩ বছর ধরে পৌষমেলা বন্ধ রয়েছে। প্রথমে করোনার প্রকোপ এবং তার পরের দু'বছরও পৌষমেলা হয়নি। সিংহভাগই এই মেলা বন্ধের কারণ হিসাবে প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তীকে মনে করেন। তবে এবারও পৌষমেলা করতে পারছে না বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। যদিও জেলা প্রশাসন এই মেলার ‘প্রস্তাবক’।

আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।