সংক্ষিপ্ত
সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থেকে তারাপীঠে পৌঁছন প্রনবেশ ঘোষ ও প্রবীর ঘোষের পরিবার। তারাপীঠের দ্বারকা নদীর সেতু পেরিয়ে মুণ্ডমালিনী তোলা রাস্তা ধরে লজে যাওয়ার চেষ্টা করলে এক টোটো চালক প্রণববাবুর গাড়িতে ধাক্কা মারে।
মা তারার পুজো দিতে গিয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখে পুণ্যার্থীরা। টোটো চালকদের হাতে রীতিমত মারধর খেতে হল তাঁদের! আহত হয়ে তারাপীঠ ছাড়লেন তাঁরা। সূত্রের খবর ওই টোটো চালকরা ভাঙচুর করে পুন্যার্থীদের গাড়ি। তারওপর মেলেনি পুলিশি সহায়তাও। উপযুক্ত পুলিশি নিরাপত্তা না পেয়ে কোনওরকমে পুজো না দিয়েই তারাপীঠ ছাড়েন আক্রান্ত দুটি পরিবার বলে খবর।
জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থেকে দেওঘর হয়ে সড়কপথে তারাপীঠে পৌঁছন প্রনবেশ ঘোষ ও প্রবীর ঘোষের পরিবার। তারাপীঠের দ্বারকা নদীর সেতু পেরিয়ে মুণ্ডমালিনী তোলা রাস্তা ধরে লজে যাওয়ার চেষ্টা করলে এক টোটো চালক প্রণববাবুর গাড়িতে ধাক্কা মারে। প্রণববাবু এবং তার চালক প্রতিবাদ করতে গেলে টোটো চালক প্রণববাবুর উপর চড়াও হয়। এরপর আরও কিছু লোকজন ডেকে এনে টোটো চালকরা প্রনবেশবাবুর গাড়ির কাঁচ ভাঙচুর করে। গাড়ি লক্ষ্য করে ইট পাথর ছোঁড়ে। মারধর করা হয় প্রণববাবুর বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়িকে।
গাড়ির ভাঙা কাঁচে প্রত্যেকের শরীর রক্তাক্ত হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে তারাপীঠ থানায় জানানো হলে পুলিশ তিন টোটো চালককে আটক করে। গাড়ির কাঁচ ভাঙতে গিয়ে এক টোটো চালকের হাত রক্তাক্ত হয়। প্রনবেশবাবু বলেন, “সন্ধ্যার সময় আমরা তারাপীঠে ঢুকে আগে থেকে বুকিং করা লজের দিকে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার সময় এক টোটো চালক নিজেই আমাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। আমরা প্রতিবাদ করতেই আমাদের উপর চড়াও হয়। টোটো চালকেরা প্রত্যেকে মদ্যপ অবস্থায় ছিল। আমরা তারাপীঠ থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। এই কাণ্ড দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পরেছি। নিরাপত্তার অভাবে আমরা তারাপীঠে থাকার সাহস পাচ্ছিন না। তাই ফিরে যাচ্ছি। মা তারার পুজো দিতে এসে এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হবে ভাবতেও পারিনি”।
টোটোচালকদের এহেন আচরণে স্তম্ভিত ওই দুই পরিবার। তবে পুলিশি সহায়তা তাঁরা কেন পেলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেই সঙ্গে তারাপীঠে পূণ্যার্থীদের সঙ্গে এরকম ব্যবহারের পর সেখানে উপস্থিত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।