সংক্ষিপ্ত
বিহারে একটি গ্যাং এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। এক আগেও এই গ্যাংটি সক্রিয় ছিল। আগে থেকে রেইকি করে ডাকাতি করা হয়েছে
রীতিমত ছক কষে সেনকো গোল্ডের দুটি শো-রুমে হানা দিল ডাকাতদল। ভরদুপুরেই নদিয়ায় ব্র্যান্ডেড সোনার শোরুমে হানা দেয় ডাকাত দল। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় চার দুষ্কৃতী ধরা পড়ে।তবে বেশ কিছুজন পালিয়ে যায়। তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। সোমবার পুরুলিয়ার একটি শোরুমে ডাকাতি হয় বলে অভিযোগ। দুটি ঘটনা একই ডাকাতদলের কাজ কিনা তাও খতিয়ে দেখছে। পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে বিহারের একটি গ্যাং-এর কথাই সামনে আসছে।
আইডি রশিদ মুনির খান জানিয়েছেন, বিহারে একটি গ্যাং এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। এক আগেও এই গ্যাংটি সক্রিয় ছিল। আগে থেকে রেইকি করে ডাকাতি করা হয়েছে। দুই জন এসে সোনার গয়নার শোরুম দেখে গিয়েছিল। লক্ষ্য করেছিল সিসিটিভি ক্যামেরাও। কোন পথে নিরাপদে পালানো যায় তাই লক্ষ্য করেছিল গ্যাংএর সদস্যরা। রেইকির মাত্র এক দিন পরেই ডাকাত দলের সদস্যরা কলকাতা হয় নদিয়ার কল্যানীতে আসে। সেখান থেকে রানাঘাটে যায়। রানাঘাটেই দলের বাকি দুই জন সদস্য অপেক্ষা করছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, বেলা তিনটে নাগাদ ক্রেতা সেজে ডাকাত দলের সদস্যরা হানা দেয় শোরুমে। প্রত্যেকের কাছেই ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। বন্দুক দেখিয়ে লুঠপাট চালায়। দোকানের ওপর তলার কর্মী সিসিটিভিতে দেখেই পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেই ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়ে পালিয়ে যায়।
তবে পুলিস ডাকাত দলের সদস্যদের তাড়া করে। কিছুটা দূরে দিয়েই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিরা এখনও পলাতক। চার জনের কাছে যে লুঠের মাল ছিল তা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের গুলিতে ডাকাত দলের দুই সদস্য আহত হয়েছে। পুলিশ চারটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। পুলিশের দাবি লুঠের জিনিসের প্রায় ৯০ শতাংশই উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নদিয়ার ঘটনার সঙ্গে পুরুলিয়ার ঘটনার রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোমবার ঠিক একই কায়দায় পুরুলিয়াতেও সেনকো গোল্ডোর একটি শোরুমে হানা দেয় এক দল ডাকাত।
মাস খানেক আগেই উত্তর ২৪ পরগনার আনন্দপুরীতে একটি গয়নার দোকানে ডাকাতি হয়। ডাকাতরা গুলি করে হত্যা করে দোকানের মালিককে। যা নিয়ে এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্থানীয়রা।