ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই দত্তপুকুর কাশিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় উঠলো জোর শোরগোল। বাসের মধ্যেই টাকা বিলি করতে দেখা গিয়েছিল এক ব্যক্তিকে।
২১শে জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর সভাশেষে বাড়ি ফেরার পথে, কন্ট্রাক্টারের মতন এক ব্যক্তি বাসে টাকা আদায়ের বদলে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে টাকা বিলি করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠা মিটতে না মিটতেই তাই নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি বাড়িয়েছে ঘাসফুল শিবিরে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই দত্তপুকুর কাশিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় উঠলো জোর শোরগোল। বাসের মধ্যেই টাকা বিলি করতে দেখা গিয়েছিল এক ব্যক্তিকে। সাদা ধোপদস্তুর পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তিকে বাসের মধ্যে বসে থাকা যাত্রীদের মধ্যে টাকা বিলি করতে দেখা গিয়েছে। স্থানীয় বিরোধী দল গুলির একাংশের দাবি ভিডিওতে টাকা বিলি করতে দেখা যাচ্ছে সেখানকার স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী তৃণমূল নেতৃত্বের অনুগামী কে। পয়সার বিনিময়ে ধর্মতলায় শহীদ সভার সমাগম- এই অভিযোগও তুলেছে বিরোধীরা।

এলাকার স্থানীয় বিজেপি নেতা সমরজিৎ ঘোষ বলেন, তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। নিচু তলার কর্মী সমর্থকদের রোজের দাম দিচ্ছে তৃণমূল। যদি তারা যেতে অস্বীকার করত তাহলে হয়তো তাদের কাজই চলে যেত। ভীতসন্ত্রস্ত সাধারণ মানুষ পেটের দায়ে এবং রাজনৈতিক চাপ হয়তো যেতে হইছে। পাশাপাশি এই ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয় সিপিআইএম নেতা হাবিব আলি বলেন, শুধুমাত্র টাকা নয়। টাকা ছাড়াও মদ মাংস আরও কত কিছুতে যে শহিদ স্মরণ করা হয়েছে এত সভার পর থেকেই সমাজ মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসছে।

এগুলি তৃণমূলের কালচার। এমনটাও দাবি করেছেন অনেকে। যদিও এই ভাইরাল ভিডিও বিষয়ে অস্বীকার করেছেন কাশিমপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অমল বিষ্ণু বলেন, এ ধরনের ভিডিও দত্তপুকুর তথা বারাসাত একদা অঞ্চলের কোন জায়গার নয়। আমাদের এবং দলের নামে কুৎসা রটাতে বিরোধীরা সরব হয়েছে।কাশিমপুর এলাকারা কোনো বাসে এধরনের টাকা বিলির ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি তার। তিনি আরও বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস সৈনিকদের পয়সার বিনিময়ে কেনা যায় না। দুর্গাপুরে দেশের ঢপবাজ প্রধানমন্ত্রী সভায় উত্তরপ্রদেশ বিহার থেকে লোক নিয়ে আসা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের এই দুর্দিন আসেনি। এবার ২১ জুলাই শহিদ স্মরণের অনুষ্ঠান ঘিরে একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে বাসের মধ্যেই হিন্দু চাটুল গানের সঙ্গে নাচতে দেখা গিয়েছে। যদিও তারা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী কিনা তা প্রকাশ করা হয়নি।

তবে এই ভিডিওকে ঘিরে এলাকায় ছড়িয়েছে শোরগোল পাশাপাশি শুরু হয়েছে নানান রাজনৈতিক তরজা। তবে সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল এই ভিডিওর যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ মিডিয়া।


