সংক্ষিপ্ত

সঞ্জয় সর্দারের নামে জীবনতলা ও কাশীপুর দুটি থানাতেই তাঁরা নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন তাঁর স্ত্রী। তবে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অস্বস্তি বাড়ছে।

 

ভোট পর্ব মেটার পরই নির্দিষ্ট স্থানে ব্যালট বাক্স জমা দেওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ভোট কর্মী সঞ্জয় সর্দার। রাত দুটোর সময় শেষবারের মত কথা বলেছিলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তারপর থেকে আর কোনওরকম ভাবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। রবিবার সকালেও বাড়ি ফেরেননি সঞ্জয়। অবশেষে একরাশ উদ্বেগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় ভোট কর্মীর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ দায়ের করা হয় থানা। পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও পুরো বিষয়টি জানান হয়।

সঞ্জয়ের পরিবারের সদস্যরা জনিয়েছেন, ভাঙড়ে ভোটের ডিউটি পড়েছিল তাঁর। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন পোলেঘাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০৭ নম্বর বুথে ভোটের কাজে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বাড়ি ক্যানিংএর জীবনতলা থানার দক্ষিণ বাগমারিতে। পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক সঞ্জয়। ভোটের ডিউটি করে রাতে ব্যালট বাক্স জমা দেন সঞ্জয়। তারপরই বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন তাঁর মোবাইল ফোনে চার্জ নেই। আর সেই কারণেই অন্যের মোবাইল ফোন থেকে তিনি কথা বলছেন। সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন কাঁঠালিয়া হাইস্কুলে ব্যালট বাক্স জমা দিয়েছেন। এবার তিনি বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু তারপর থেকে সঞ্জের সঙ্গে আর কোনও রকম যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা। রবিবার সকালেও সঞ্জয় বাড়ি পৌঁছাননি। দীর্ঘ সময় তাঁকে খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে পুলিশ আর নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় সঞ্জয়ের পরিবার।

সঞ্জয়ের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, জীবনতলা ও কাশীপুর দুটি থানাতেই তাঁরা নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন। তবে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অস্বস্তি বাড়ছে। কারণ পুলিশের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য পাননি তাঁরা।

সঞ্জয় সর্দারের কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ধরে শিয়ালদহ যাওয়ার কথা ছিল। সেখান থেকে ট্রেন ধরে ক্যানিং যাওয়ার কথা। রাত ২টো নাগাদ কাঁঠালিয়া থেকে বেরিয়ে গেলে রবিবার সকালেই প্রথম ক্যানিং লোকাল ধরে তাঁর বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু এদিন সন্ধ্যে পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ভোট কর্মীর।

শনিবার দিনভরই পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছিল রাদ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। একাধিক বুথে ভোট কর্মীদের অসহায় ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তারপর এবারও সঞ্জয় নিখোঁজ হওয়ায় ২০২৮ সালের ইটাহারের সোনারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথ থেকে নিখোঁজ হওয়া প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায়ের স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। কারণ ভোটের দিন নিখোঁজ হয়েছিল। পরের দিন তাঁর ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয়। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার আর ভোট কর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলন হয়েছিল। শেষপর্যন্ত কমিশন নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপুরণ হিসেহে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ

Panchayat Election 2023: সোমবারই ১৭৫টি বুথে পুননির্বাচন, বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের

মধ্যপ্রদেশে দুই আদিবাসী ভাইকে মারধর, তৃণমূলের নিশানায় প্রধানমন্ত্রী মোদী

'আর কত মানুষকে খুন করা হবে?' মৃত কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি থেকে মমতাকে প্রশ্ন অধীরের