সংক্ষিপ্ত
এদিন বৈঠকে বেলেঘাটা আইডিতে চাপ কমানোর উপর বিশেষ জোড় দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি বি সি রায় শিশু হাসপাতালে ক্রমবর্ধমান চাপ কমাতে অতিরিক্ত শয্যার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে।
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। শহরে একের পর এক শিশু মৃত্যূর ঘটনায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কপালে। ইতিমধ্যেই অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে একের পর এক ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। মঙ্গলবার এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বুধবার সকালে বি সি রায় শিশু হাসপাতাল পরিদর্শনে এলেন স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা। এদিন বি সি রায় শিশু হাসপাতালের অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকও করেন তাঁরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেয়র কাউন্সিল এবং এখানকার রোগী কল্যাণ সমীতির সদস্য স্বপন সমাদ্দার। বৈঠকের পাশাপাশি এদিন হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে রোগীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। রোগীর পরিজনের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। তবে ডাক্তারদের সম্মন্ধে রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ করা হয়নি বলেই জানান তিনি।
এদিন বৈঠকে বেলেঘাটা আইডিতে চাপ কমানোর উপর বিশেষ জোড় দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি বি সি রায় শিশু হাসপাতালে ক্রমবর্ধমান চাপ কমাতে অতিরিক্ত শয্যার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি বি সি রায় শিশু হাসপাতাল থেকে যাতে আইডিতে রোগী রেফার করা যায় সেই দিকে নজর রেখে আইডিতেও শিশু রোগীর চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে। এদিন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা জানিয়েছেন,'আমাদের উপর চাপ আছে, কিন্তু আমাদের কাছে এই মুহূর্তে বেশ কিছু সংখ্যক বেড আমাদের রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে চাহিদা মেটানো যাবে বলেই আশা করা যাচ্ছে।' তিনি আরও বলেন,' এখন পর্যন্ত যে সব শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সেগুলির বেশিরভাগই কোমরবিডিটিস-এর কেস। কারোর ওজন কম, কোনও বাচ্চার হার্টের অসুখ আছে। তবে আমাদের ডাক্তাররা চিকিৎসা এবং চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে সন্তুষ্ট।' এছাড়া চিকিৎসা পরিষেবা প্রসঙ্গে রোগী কল্যান সমিতির সদস্য স্বপন সমাদ্দার জানিয়েছেন,'ডাক্তারদের নিয়ে রোগীর পরিজনদের কোনও অভিযোগ নেই। কয়েকজন নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। আমি এবিষয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।' তবে মানুষকে পরিষেবা দিতে আইডি প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত,
ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয় মৃত্যু হয়েছে বেশ কিছু শিশুর। এবার এই সমস্যার মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায়?
এই নির্দেশিকা অনুযায়ী,
- রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল-সহ সমস্ত সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এআরআই (অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন )-এর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
- এছাড়া রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে যাতে ২৪ ঘণ্টার জন্য এআরাইতে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
- ওপিডিতে চিকিৎসা করাতে আশা শিশুদের যেন বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে না হয়।
- ওপিডিতে চিকিৎসা করাতে আসা শিশু যদি এআরইতে আক্রান্ত হয় তবে তাঁদের জন্য আলাদা ক্লিনিকের ব্যবস্থা করতে হবে।
- রাজ্যের সব হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে একজন করে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞকে উপস্থিত থাকতে হবে।
- হাসপাতালের সুপারের সুপারিশ ছাড়া কোনও অসুস্থ শিশুকে সেখান থেকে রেফার করা যাবে না।
- রেফার করার ক্ষেত্রে যেখানে পাঠানো হচ্ছে সেখানে শয্যা রয়েছে কি না জেনে নিতে হবে।
- হাসপাতালের সুপারের সুপারিশ ছাড়া কোনও অসুস্থ শিশুকে সেখান থেকে রেফার করা যাবে না।
- সিনিয়র রেসিডেন্ট-সহ জুনিয়র চিকিৎসকদেরও এই ক’দিন এআরআই আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় নিয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুন -
'না পোষলে ছেড়ে দিন', ডিএ ইস্যুতে এবার কড়া বার্তা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের
অ্যাডিনো ভাইারাস: চিকিৎসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ সুকান্তর, তথ্য গোপনের অভিযোগ অধীরের