রথযাত্রা উপলক্ষে পুরীতে ভক্তদের ভিড়। দিঘা জগন্নাথ মন্দির ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। পুরীর মহারাজ দিব্যাসিংহ দেব বলেন, দিঘা নয়, পুরীই আসল জগন্নাথধাম।

রথযাত্রা উপলক্ষে প্রতি বছরই পুরী, সৈকত শহরে উপচে পড়ে ভিড়। কাতারে কাতারে লোকের জমায়েত হয় এই স্থানে। জগন্নাথ ধাম নামেই খ্যাত পুরী। জ্বর হওয়ার পর বলরাম, সুভদ্রা, জগন্নাথদেবকে নবযৌবন বেশ পরানো হয়। নেত্র উৎসব, জগন্নাথদেবের নন্দীঘোষ, বলরামের তালধ্বজ ও সুভদ্রার দর্পদলন বা পদ্মধ্বজের যাত্রা হয়।

এবছরের রথযাত্রা অন্যান্য বছরের থেকে আলাদা। কারণ এবছর দিঘা জগন্নাথ মন্দির ঘিরে ভক্তদের আগ্রহ আছে তুঙ্গে। ইতিমধ্যে প্রসাদ বিতরণ নিয়ে বিতর্ক চলছে। তার মাঝে পুজোর রীতি নিয়ে চলছে নানান জটিলতা।

সদ্য প্রকাশ্যে এল পুরীর মহারাজ গজপতি দিব্যাসিংহ দেবের কথা। তিনি বলেন, ভগবান পরমাত্মা রূপে কীভাবে কখন আবির্ভাব বলেন, তা পুরীই জানে। দিঘাতে তো জগন্নাথদেবের আবির্ভাব হয়নি। দারুব্রক্ষ্মরূপে জগন্নাথের আবির্ভাব হয়েছিল শ্রীক্ষেত্র পুরুষোত্তমক্ষেত্রে পুরীতেই। তাই এই স্থানকে জগন্নাথধামের আধ্যা দেওয়া হয়। অনদিকাল থেকে যত আচার্যর আবির্ভাব হয়েছে, তাঁর এই পুরীকেই জগন্নাথধাম বলে মনে করছেন।

তিনি আরও বলেন, আমি আশ্চর্যও হচ্ছি, দুঃখপ্রকাশও করছি দিঘার এই ঘটনায়। দেখুন বিশ্বজুড়েই জগন্নাথদেবের একাধিক মন্দির তৈরি হয়েছে। কিন্তু, কেউই তা জগন্নাথধাম আখ্যা দেয়নি। দিঘায় এত সুন্দর, সুবৃহৎ মন্দির তৈরি হয়েছে এটা খুবই ভালো। কিন্তু, যে কাজ ওখানে হয়েছে শাস্ত্র ও পরম্পরার বিরুদ্ধে।

এদিকে দিঘায় জগন্নাথ ধাম ও মহাপ্রসাদ নিয়ে বিতর্ক চলছে। এই আবহেই মন্দির সংক্রান্ত শব্দের পেটেন্ট চেয়ে আবেদন করেছে পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ, জানালেন মন্দিরের মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাঁধী। তিনি জানান, জাগন্নাথ ধাম একটাই। পুরীর মন্দির বা মহাপ্রসাদের মাহাত্ম্যও সবাই জানে। এই নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। তবে এবারে মন্দির সংক্রান্ত শব্দের পেটেন্ট চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, রথযাত্রা পড়েছে ১২ আষাঢ় (২৭ জুন) শুক্রবার।

উল্টো রথযাত্রা ২০ আষাঢ় (৫ জুলাই) শনিবার।

মহেন্দ্রযোগ সকাল ৫টা ৫১ মিনিট থেকে ৬টা ৪৪ মধ্যে এবং সকাল ৯টা ২৫ মিনিট থেকে সকাল ১০টা ১৮ মিনিটের মধ্যে।