সংক্ষিপ্ত

একটি সংস্থার চানাচুর খাওয়ার অনুপযুক্ত বলে রিপোর্ট হাতে আসে। এরপরেই নড়ে চড়ে বসে জেলা প্রশাসন। ওই নামি ব্র্যান্ডের হলুদ, বিস্কুট, চানাচুরের নমুনা পরীক্ষায় চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট মেলে।

গত ২৪ জুলাই বর্ধমান জেলার মেমারি-২ ব্লকের খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক নামী ব্র্যান্ডের গুঁড়ো হলুদের ৫০০ গ্রামের প্যাকেট সংগ্রহ করে নমুনা পরীক্ষায় পাঠিয়েছিলেন। মিলেছিল বিস্ফোরক রিপোর্ট। জানা যায় ওই হলুদ গুঁড়ো খাওয়া শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক! গত ২৫ জুন রায়না-২ ব্লকে খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর নমুনা সংগ্রহে অভিযান শুরু করেন।

তার মধ্যে একটি সংস্থার চানাচুর খাওয়ার অনুপযুক্ত বলে রিপোর্ট হাতে আসে। এরপরেই নড়ে চড়ে বসে জেলা প্রশাসন। ওই নামি ব্র্যান্ডের হলুদ, বিস্কুট, চানাচুরের নমুনা পরীক্ষায় চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট মেলে। বর্ধমান জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে নেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী হলুদ, বিস্কুট, চানাচুরের মতো ব্র্যান্ডেড সামগ্রী খাওয়ার অনুপযুক্ত। হাতে রিপোর্ট পেতেই এবার বড়সড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল।

তবে ওই সব খাদ্যসামগ্রীর উৎপাদনের তারিখ বা নমুনা সংগ্রহের রিপোর্ট হাতে আসার পরে নিষিদ্ধ ঘোষণার মধ্যে প্রায় অনেকটাই সময় কেটে গিয়েছে। এত দীর্ঘ সময় পরে খাদ্যসামগ্রী নিষিদ্ধ করা হল, আদৌ কি তা আর বাজারে অবশিষ্ট আছে, উঠছে প্রশ্ন। নিয়ম মেনে ওই সমস্ত ব্র্যান্ডের সামগ্রী বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করল জেলা খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর।

জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ (২) তথা খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বুধবার জানিয়েছেন, একইসঙ্গে ওই সব খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী তিনটি সংস্থাকে চিঠি দিয়েইতিমধ্যেই ওই সব ব্র্যান্ডের সামগ্রী বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ এপ্রিল গলসি-২ ব্লকের খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক নামী ব্র্যান্ডের 'ই-টাইম' বিস্কুটের ৩০৬ গ্রামের প্যাকেট সংগ্রহ করেছিলেন। নমুনা পরীক্ষায় খাদ্যদ্রব্যগুলি ব্যর্থ হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, তা ব্যবহারের অযোগ্য।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।