সংক্ষিপ্ত
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যাচার করছেন। আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার মা তেমনই বলেছেন। মূলত টাকার প্রস্তাব নিয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন তিনি নিহতের মা বা পরিবারকে টাকার প্রস্তাব দেননি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের মা বলেছেন মমতা মিথ্যা কথা বলেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এদিন নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে সঠিক কথা হচ্ছে না। নির্যাতিতার পরিবারকে টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়নি। তিনি টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন, তার প্রমাণ দেওয়ার চ্যালেঞ্জও সরাসরি করেছেন মমতা। তিনি বলেন স্মৃতিরক্ষায় কিছু করতে গেলে তাতে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করবে। তিনি এই প্রস্তাব দিয়েছেন।
নির্যাতিতার মা এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পরই দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন। তিনি ক্ষতিপুরণ দেওয়ার কথা বলেছিলেন। মেয়ের স্মৃতিরক্ষায় কিছু করতেও বলেছিলেন। নির্যাতিতার মা বলেন, 'আমি তাঁকে বলেছিলাম আমার মেয়ে ন্যায়বিচার পেলে আপনার অফিসে গিয়ে ক্ষতিপুরণ নিয়ে নেব।'
এদিন মমতা উৎসবে ফেরার কথাও বলেছিলেন। তিনি বলেছেন একমাস হয়ে গেল। এবার তো পুজোতে ফিরুন। তার উত্তর দিতে নির্যাতিতার মা বলেন, তাঁর বাড়িতেও দুর্গাপুজোর উৎসব হত। 'আমার মেয়েও উৎসবে থাকত। কিন্তু আমাদের জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। আমি কী করে উৎসবে ফিরব।' নির্যাতিতার মা আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলন থামিয়ে দিতে চান। তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তথ্য প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। তিনি ন্যায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত পথেই থাকবেন বলেও জানিয়েছেন।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণী খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে উত্তাল গোটা রাজ্য। হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নেই বলেও দাবি উঠেছে। এই পরিস্থিতিতেই সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণও ছিল রাজ্যের হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। তারপরই রাজ্যের তরফ থেকে জানান হয় হাসপাতালের নিরাপাত্তার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নবান্নে এদিনই বৈঠক হয়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় স্বাস্থ্যসচিবকে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা সহ একাধিক সুবিধের জন্য ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন বলেও জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেই মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানান স্বাস্থ্য ভবনের মাধ্যমে হাসপাতালগুলির জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বাড়তি নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুবিধের জন্যই এই টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে।