- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- আরজি করের নির্যাতিতাকে কি একজনই ধর্ষণ করেছে না গণধর্ষণ? সিবিআই-কে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের
আরজি করের নির্যাতিতাকে কি একজনই ধর্ষণ করেছে না গণধর্ষণ? সিবিআই-কে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের
RG Kar Rape & Murder Case: আরজি কর হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণ মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্ট। একজনই ধর্ষণ করেছে না গণধর্ষণ হয়েছে তরুণী চিকিৎসকের। প্রশ্ন কলকাতা হইকোর্টের।

আরজি কর হত্যা ও ধর্ষণ মমল
আরজি কর হত্যা ও ধর্ষণ-কাণ্ডে একজন জড়িত না নির্যাতিতাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে? এই ঘটনায় আরও কি কেউ জড়িত রয়েছে? শুনানিতে সেই প্রশ্নই তুলল কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এদিন আবারও আরজি কর হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণ মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা শোনেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
বিচারপতির বার্তা
বিচারপতি এদিন জানতে চান এই ঘটনায় একজনই অভিযুক্ত নাকি আরও কেউ ছিল? তাঁর মন্তব্য এটি গণধর্ষণ নাকি নয়, আদালতের কাছে স্পষ্ট করুক সিবিআই।
কেস ডায়েরি
আরজি কর হত্যাকাণ্ডে সিবিআইকে কেস ডায়েরি আদালতে জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। শুক্রবারের মধ্যেই কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে সিবিআইকে।
বিচারপতির প্রশ্ন
আরজি কর হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণ মামলায় প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। তারপর এখন সিবিআই কী কী বিষয়ে তদন্ত করছে তাও জানতে চান বিচারপতি।
সংশয়ে রাজ্যের আইনজীবী
এদিন রাজ্যের পক্ষ থেকে আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মামলায় বিচার শেষ হওয়ার পরে আরও তদন্ত হতে পারে কিনা তা নিয়েও এজলাসে সংশয় প্রকাশ করেন।
বাইরে রাজ্যকে নিশানা
অন্যদিকে আদালতের বাইরে রাজ্যকে টার্গেট করেন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী শামিম আহমেদ। রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, 'রাজ্য সরকার চাইছে না তদন্ত হোক। সেইজন্যই তারা বলছে আরও তদন্ত হলে তাদের সমস্যা নেই। কিন্তু আইনে সমস্যা রয়েছে।'
আস্থা নির্যতিতার বাবা
এদিন শুনানিতে হাজির ছিল নির্যাতিতার পরিবার। তিনি শুনানির পরে আদালতের ওপর তাঁদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। মেয়ের বিচার তাঁরা আদালতে পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন।
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ
আরজি কর হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণ কাণ্ডে প্রথম কলকাতা পুলিশ তদন্ত করছিল। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করে সিবিআই। কিন্তু পুরোপুরি সত্যি সামনে আসেনি বলও অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের।
দোষী এক
আরজি কর-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত একজনকেই দোষী হিসেবে চিহ্নি করা হয়েছে। দোষী হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবারের দাবি একা সঞ্জয়ের পক্ষে পুরো ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। আরও অনেকেই ছিল।

