- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- আরজি করের নির্যাতিতার শরীরে নেই বীর্য! CBI-কে দেওয়া বিশেষজ্ঞ দলের রিপোর্টে রয়েছে হাড়হিম করা তথ্য
আরজি করের নির্যাতিতার শরীরে নেই বীর্য! CBI-কে দেওয়া বিশেষজ্ঞ দলের রিপোর্টে রয়েছে হাড়হিম করা তথ্য
- FB
- TW
- Linkdin
আরজি কর হত্যকাণ্ডের রিপোর্ট
আরজি কর কাণ্ড সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দিল দিল্লির বিশেষজ্ঞ দল। সেই রিপোর্টে রয়েছে আরজি করে মেডিক্যাল কলেজের তরুণী নির্যাতন ও খুনের হাড়হিম করা তথ্য। সিবিআইকে দেওয়া রিপোর্টের ৯টি তথ্য রইল।
৯টি প্রশ্নের উত্তর
দিল্লি এমসের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ আদর্শ কুমারের নেতৃত্বাধীন ১১ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল ‘মাল্টি ইনস্টিটিউশনাল মেডিক্যাল বোর্ড’ (এমআইএমবি) আরজি করে নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি, সুরতহালের রিপোর্ট এবং এই সংক্রান্ত অন্য প্রয়োজনীয় রিপোর্টগুলি খতিয়ে দেখেছে। আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এমআইএমবি-কে নির্যাতিতা এবং আরজি করের ঘটনা সম্পর্কে মোট ৯টি প্রশ্ন করেছিল। তারই উত্তর দিয়েছে বিশেষজ্ঞ দল। সেই ৯টি প্রশ্নের উত্তরই দেখুন।
শ্বাসরোধ করে হত্যা
আরজি করের নির্যাতিতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ৯ আগস্ট রাত ১২ থেকে ভোর ৬টার মধ্যে কোনও একটা সময় হত্যা করা হয়েছে। ময়না তদন্তের দেরি হওয়ার কারণ শরীরের অনেক অংশ পচে গিয়েছিল।
যৌন অত্যাচার
আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের যৌন নির্যাতন হয়েছিল। হাইমেন ছেঁড়া ছিল। যোনিতে ক্ষত চিহ্ন। সেখান থেকে রক্ত গড়িয়ে এসে পড়েছিল। নির্যাতিতার থুতনি আর গলার উপর কামড়ের ক্ষত চিহ্ন যৌন নির্যাতনের প্রমাণ দেয়। সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়েরই সঙ্গে লালার ডিএনএ রিপোর্টও মিলিয়েছে।
ধর্ষক-হত্যাকারী কতজন
রিপোর্টে বলা হয়েছে নির্যাতিতার ঘাড়ে, যোনিতে যে ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে তা একজনের পক্ষেও সম্ভব। আনুষঙ্গিক তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করেও এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বিশেষজ্ঞ দল। তবে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের প্রকাশ করা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এবং এমআইএমবি-র সঙ্গে আলোচনা করে এই তথ্য যাচাই করা যেতে পারে।
মৃত্য়ুর আগে আঘাত
আরজি করের নির্যাতিতাকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত চরম অত্যাচার করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে তিনি ছটফট করেছিলেন। নাকের কাছে যে আঘাত রয়েছে, বহিরাগত কোনও চাপে চশমা ভেঙে যাওয়ার কারণে তা হতে পারে। যোনিতেও বলপ্রয়োগ করে কিছু প্রবেশ করান হয়েছিল বলেও রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।
যোনিতে আঘাত
আরজি করের নির্যাতিতার যোনির আঘাত স্পষ্ট সেখানে বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। জোর করে কিছু প্রবেশ করান হয়েছে। পুরুষাঙ্গ, আঙুল বা ভোঁতা কোনও বস্তু প্রবেশ করান হয়েছিল। তবে কি - তা স্পষ্ট নয়।
প্রতিরোধ
আরজি করের নির্যাতিতা শেষ পর্যন্ত নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। অভিযুক্তের দেহের আঘাত থেকেই তা স্পষ্ট।
বীর্ষ নেই
নির্যাতিতার যোনিতে বীর্য মেলেনি। কিন্তু সেখানে বলপ্রয়োগে প্রবেশ ঘটানো হয়েছিল রিপোর্টে বলা হয়েছে পুরুষাঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রবেশ করান হতে পারে। কনডোন পরা অবস্থায় পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করান হতে পারে। পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করালেও যোনির মধ্যে বীর্ষপাত নাও হতে পারে।
আঘাত গুরুতর হওয়ার কারণ
রিপোর্টে বলা হয়েছে তরুণীর দাঁতে ব্রেস ছিল। চোখে চশমা ছিল। তাই মুখের ভিতর, ঠোঁট ও গলার ক্ষতগুলি বেশি স্পষ্ট।
ময়নাতদন্তের নিয়ম ভঙ্গ
রিপোর্টে বলা হয়েছে ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি থেকে জানা গিয়েছে সেখানে অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অনেকে আবার ব্যক্তিগত মোবাইলে ছবি তুলছিলেন এবং ভিডিয়ো রেকর্ড করছিলেন, যা একেবারেই নিয়মবিরুদ্ধ।