সংক্ষিপ্ত

শান্তনুকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে এবার জলপাইগুড়ি যোগের জল্পনা।

নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন হুগলির এককালীন যুবনেতা তথা কুন্তল-ঘনিষ্ঠ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই সাংবাদিক বৈঠক করে শান্তনুকে দল থেকে বের করে দিয়েছে তৃণমূল। এই শান্তনুকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে এবার জলপাইগুড়ি যোগের জল্পনা।। শোনা যাচ্ছে, জলপাইগুড়ির এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে নাকি দোলের সময়ে এসে ঠাঁই নিয়েছিলেন শান্তনু। জলপাইগুড়ি পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত পুলিশ লাইন সংলগ্ন রিজিওনাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরি এলাকায় থাকেন তৃণমূল নেতা সন্দীপ সান্যাল। তিনি জলপাইগুড়ির ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিটিতে তৃণমূলের সভাপতি। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, শান্তনু নাকি সন্দীপ সান্যালের বাড়িতে এসে থাকতেন।

তাঁর গ্রেফতারির কথা জেনে এলাকাবাসীদের বক্তব্য, সন্দীপ সান্যালের বাড়ির বারান্দায় যাঁকে তাঁরা মাঝেমাঝেই দেখতে পেতেন, সেই ব্যক্তির সঙ্গে শান্তনুর ভীষণ মিল রয়েছে। তাঁরা তখন বিষয়টি বুঝতে পারেননি। কিন্তু, টিভি চ্যানেলে শান্তনুর ছবি দেখার পর তাঁরা প্রায় নিশ্চিত যে, ওই তৃণমূল নেতার বাড়ির বারান্দায় যাঁকে তাঁরা দেখতে পেতেন, তিনি সম্ভবত গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের দাবি, যে ব্যক্তিকে তাঁরা শান্তনু বলে মনে করছেন, তাঁকে দোলের সময়েও দেখা গিয়েছিল সন্দীপ সান্যালের বাড়িতে। দুর্গাপুজোর সময়েও ওই ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছিল বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।

নিজের এলাকায় পার্থ সান্যাল নামেই অধিক পরিচিত সন্দীপ সান্যাল। তিনি অবশ্য শান্তনুর সাথে ঘনিষ্ঠতার বিষয়টিতে খুব-একটা আমল দেননি। তাঁর বক্তব্য, তিনি শান্তনুকে চেনেন। দু’একবার মিটিং এ দেখেছেন। ব্যস, এইটুকুই।

বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক বুবাই কর বলেছেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মাথা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জলপাইগুড়ির তৃনমূল নেতা সন্দীপ সান্যালের বাড়িতে মাঝেমধ্যে আসতেন। সন্দীপ সান্যালের বাড়ি পুলিশ লাইন এলাকায়।’

আরও পড়ুন-

যশোর রোডের ধারে অবহেলায় পড়েছিল নবাব সিরাজউদ্দৌলার কামান, প্রায় চারশো বছরের ইতিহাস খনন শুরু হল ১৫ মার্চ
জামা খুলে অর্ধনগ্ন অবস্থায় মঞ্চে উঠে পড়লেন তরুণী, জুনো অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে শ’য়ে শ’য়ে দর্শকের সামনে অভিনব ‘প্রতিবাদ’
ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা থেকে ফিরে এসে এবার হাঁটার উদ্যোগ ঋষভ পন্থের, গভীর জলে ক্রাচ নিয়ে হাঁটার ভিডিও দেখে প্রবল উৎসাহী ভক্তরা