সংক্ষিপ্ত
বাম-কংগ্রেস জোটের তীব্র সমালোচনা করলেন তিনি। তাঁর কথায়,'সাগরদিঘিতে আমরা হেরে গিয়েছি।
সাগরদিঘিতে ভরাডুবি তৃণমূলের। কংগ্রেসের কাছে প্রায় ২৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেহে তৃণমূল। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় ছিল বাম কংগ্রেস জোট। এই জোটকে অর্থনৈতিক জোট বলে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় এদিন ছিল গেরুয়া শিবিরও। পাশাপাশি ত্রিপুরার মানুষকে ধন্যবাদও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,'আমি মেঘালয়ের মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা মাত্র ৬ মাস আগে শুরু করেছি। পরের বার আরও এগিয়ে যাব। আরও সাফল্য পাব। ত্রিপুরায় এদিক ওদিক হতেই পারে। ওরা অন্য বিধায়ক কিনে নিতে পারে।'
কিন্তু সাগরদিঘি প্রসঙ্গে আর এতটা নরম সুর রইল না মুখ্যমন্ত্রীর। বাম-কংগ্রেস জোটের তীব্র সমালোচনা করলেন তিনি। তাঁর কথায়,'সাগরদিঘিতে আমরা হেরে গিয়েছি। কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। ভোট মাত্রেই প্লাস মাইনাস হয়। কিন্তু একটা অর্থনৈতিক জোট তৈরি হয়েছে। এটার তীব্র ভাষায় নিন্দা করেছি। বিজেপির ভোট এবার কংগ্রেসে গিয়েছে। সিপিএম কংগ্রেস এক হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে গণনার আগে থেকেই আত্মবিশ্বাসী হলেও, এই বিপুল মার্জিনে ভোট পেয়ে আল্পুত প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসও। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন,'বণ্যেশ্বরে ৫১৫ ভোটে এগিয়ে। আর মণিগ্রাম অঞ্চলেও এগিয়ে আমরা। যেখানে খারাপ ফল হবে ভেবেছিলাম। সেখানেই যখন এগিয়ে তখন আর চিন্তা কীসের? জিতব জানতাম, কিন্তু মানুষ এতটা ভালোবাসবে ভাবিনি।' উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের গো়ড়ার দিকে এই কেন্দ্র কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি ছিল। ১৯৮৭ সাল থেকে সিপিআই(এম) সাগরদিঘি কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। পরিবর্তনের হাওয়া মুর্শিদাবের সাগরদিঘিতেই প্রথম লেগেছিল ২০১১ সালে। সেই সময় থেকেই এটি তৃণমূলের খাসতালুক। নির্বাচন কমিশন অবাধ আর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে।
সাগরদিঘিতে অকাল দোল। ইতিমধ্যেই আবির খেলায় মেতে উঠেছে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। ভোট গণনার শুরু থেকেই হাওয়া বদলের ইঙ্গিত সাগরদিঘিতে। প্রথম দফার গণনা থেকেই এগিয়ে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেড়েছে ব্যবধানও। তৃণমূলের খাস তালুকেই ফের ঘাটি শক্ত করছে হাত। দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোট ভোটের ৪২ শতাংশই পেয়েছে কংগ্রেস। তবে তৃতীয় রাউন্ডে তৃণমূল বেশ খানিকটা ব্যবধান কমালেও গণনার এগোনোর সঙ্গে সঙ্গেই ফের বেড়েছে ব্যবধান। এখনও প্রায় আট দফার গণনা বাকি। মোট ১৬ দফার গণনা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে ফলাফল ঘোষণার আগেই উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে হাত সমর্থকরা। প্রায় প্রতিটি রাউন্ডেই এগিয়ে ছিল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন -
ভোটে জিতে গেরুয়া আবির মেখে দলীয় কার্যালয় মানিক সাহা, হাজার ভোটে হারলেন কংগ্রেস প্রার্থী
কোন পথে মেঘালয়ের রাজনীতি? চূড়ান্ত ফলের জন্য অপেক্ষা এনপিপি-র
১৯ থেকে কমে মাত্র ৬, মেঘালয়ে হ্রাস পাচ্ছে তৃণমূলের আসনসংখ্যা