সংক্ষিপ্ত
একদিকে কুড়মি সম্প্রদায়ের আন্দোলনের জেরে গত কয়েকদিন ধরে খড়গপুর ডিভিশনে বাতিল একের পর এক ট্রেন। এবার শিয়ালদহ ডিভিশনেও ট্রেন বাতিল হওয়ায় আরও দুর্ভোগ বাড়ছে যাত্রীদের মধ্যে।
সপ্তাহান্তে ফের যাত্রী দুর্ভোগ। এবার শিয়ালদহ ডিভিশনে বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন। আগামী শনিবার টানা ১০ ঘন্টা ট্রেন বাতিলের কথা জানাল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। রেল সূত্রে খবর আগামী ৮ এপ্রিল শনিবার রাত থেকেই ট্রেন বন্ধ থাকবে। মূলত লাইনে কাজ চলার জন্যই এই এই ট্রেন বাতিল। শিয়ালদহ ডিভিশনে একগুচ্ছ লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি বাতিল বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেনও। কিছু ট্রেনকে অবশ্য বিকল্প পথে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত টানা ১০ ঘন্টা বন্ধ থাকবে টবেশ কিছু ট্রেন। ফলত ছুটির দিনে ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে সাধারণ মানুষের। একদিকে কুড়মি সম্প্রদায়ের আন্দোলনের জেরে গত কয়েকদিন ধরে খড়গপুর ডিভিশনে বাতিল একের পর এক ট্রেন। এবার শিয়ালদহ ডিভিশনেও ট্রেন বাতিল হওয়ায় আরও দুর্ভোগ বাড়ছে যাত্রীদের মধ্যে।
লাইনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্যই মূলত এই ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত বলে জানাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। শনিবার, ৮ এপ্রিল রাত ১০ টা ২০ মিনিট থেকে রবিবার ৯ এপ্রিল সকাল ৮ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ১০ ঘন্টা একটানা বন্ধ থাকবে ট্রেন। বদলানো হয়েছে বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেনের সময়সূচি।
শনিবার বাতিল কোন কোন ট্রেন?
- আপ ও ডাউন শিয়ালদহ-নৈহাটি লোকাল
- আপ ও ডাউন শিয়ালদহ-বনগাঁ লোকাল
- আপ ও ডাউন শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর লোকাল
রবিবার বাতিল থাকছে কোন কোন ট্রেন?
- তিন জোড়া শিয়ালদহ-রানাঘাট লোকাল
- দুই জোড়া শিয়ালদহ-বনগাঁ লোকাল
- শিয়ালদহ-হাবড়া লোকাল
- শিয়ালদহ-ডানকুনি লোকাল
- শিয়ালদহ-কল্যাণী সীমান্ত লোকাল
- শিয়ালদহ-ব্যারাকপুর লোকাল
- আপ ও ডাউন শিয়ালদহ-দত্তপুকুর লোকাল
- আপ ও ডাউন শিয়ালদহ-হাসনাবাদ লোকাল
- শিয়ালদহ-নৈহাটি লোকাল
- শিয়ালদহ-শান্তিপুর লোকাল
- শিয়ালদহ-গেদে লোকাল
- ডাউন কৃষ্ণনগর-শিয়ালদহ লোকাল
অন্যদিকে শুক্রবার তিন দিনে পড়ল কুড়মি সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ আন্দোলন। ৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা অন্দোলনে নিজেদের দাবিতে অনড় কুড়মি সম্প্রদায়। তাঁদের দাবি , কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করতে হবে। কুড়মে ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি সরকারের সিআরআই অর্থাৎ কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্টও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ১ এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহল এলাকায় শুরু হয়েছিল ঘাঘরা ঘেরা কর্মসূচি। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বঁকুড়া, পুরু-সহ বিহার ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার জঙ্গলমহল এলাকার বাসিব্দারা এই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছে। তবে বুধবার থেকে কুড়়মি সম্প্রদায়ের মানুষ রেল অবরোধ করেছেন।
আরও পড়ুন -
কুড়মি আন্দোলনের জের, ৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ব্যবহাত ট্রেন পরিষেবা
অনলাইনে কুন্তল ঘোষের সাংঘাতিক কুকীর্তি! রহস্য ফাঁস করতে এবার Google-কেও চিঠি দিল CBI