সংক্ষিপ্ত
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এখন দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। তাঁর অনুপস্থিতিতে দল হালকা হচ্ছে শাসকদল তৃণমূলের।
বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এখন দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই তাঁর গড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলে ভাঙন। এই এলাকায় বড়সড় সভা করে তৃণমূলের বুথ সভাপতি-সহ ৬০০ জন সদস্য যোগ দিলেন সিপিএমে। এখানকার আরও মানুষ বাম দলে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন বলে দাবি সিপিএম নেতাদের।
কয়েক দিন আগেই বোলপুরের মহিদাপুর এলাকায় ১২ বছর পর সভা করেছিল বামেরা। তাতে তৃণমূল ছেড়ে কয়েক জন যোগদান করেছিলেন। এ বার বীরভূমের পাড়ুই থানার অন্তর্গত সাত্তর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাটপুকুর ডাঙায় সভা করে সিপিএমে যোগদান করলেন তৃণমূলের কর্মীরা। শুক্রবার ওই গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি শেখ আব্বাস, স্থানীয় তৃণমূল নেতা রবিলাল হেমব্রম, শেখ নাসির, শেখ আলম-সহ প্রায় ৬০০ জন সিপিএমে যোগ দেন।। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের স্থানীয় নেতা বকুল ঘোড়ুই এবং সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য মানব রায়। এ দিন তাঁরাই কর্মীদের হাতে লাল ঝান্ডা তুলে দেন।
গণ যোগদান শিবিরের পর বাম নেতাদের দাবি, তৃণমূলের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর মানুষ বুঝতে পারছেন। তাই বামপন্থীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদে মাঠে নামছেন। একই সঙ্গে সিপিএম নেতাদের দাবি, আগামী দিনে সকলেই তাদের সঙ্গে পা মেলাবেন। সিপিএমের দাবিতে অবশ্য গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছে না তৃণমূল। শাসক শিবিরের দাবি, এই যোগদানে কোনও পার্থক্য হবে না। বীরভূমে এখনও ত্ণমূলের জেলা সভাপতি পদেই আসীন রয়েছেন দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অনুপস্থিতিতে এলাকার মূল দায়িত্বভার নিজেই কাঁধে তুলে নিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁকে সাহায্য করার জন্য এলাকায় রাজনৈতিক নজরদারি চালাচ্ছে তৃণমূলের বিশেষ কোর কমিটি। কিন্তু, একবারে এত বিশাল সংখ্যক সদস্য দল থেকে বিদায় নিয়ে বিরোধী শিবিরে যোগদান করলে পঞ্চায়েত ভোটের বাক্সে যে তার প্রভাব গুরুতরভাবে পড়তেই পারে, সেই আশঙ্কাই করছেন রাজনীতিবিদরা।
আরও পড়ুন-
বৃহস্পতিবার বৃদ্ধির পর শুক্রবার ফের কমে গেল সোনার দাম, এপ্রিল মাসেও অব্যাহত হলুদ ধাতুর দরের ওঠাপড়া
অনুব্রত মণ্ডল-ঘনিষ্ঠ আবদুল লতিফ কতটা সক্রিয় ছিলেন গরু পাচারকাণ্ডে? জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠাল ইডি
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘোষণায় ২০২৪ অর্থবর্ষে স্বস্তি পাবেন সাধারণ মানুষ, রেপো রেট না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গভর্নরের