- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- ৬০ ভক্তের বাবা এক! SIR শুরু হলেতে ভোটার তালিকা ঘিরে শোরগোল পড়েগেল ইসকনে
৬০ ভক্তের বাবা এক! SIR শুরু হলেতে ভোটার তালিকা ঘিরে শোরগোল পড়েগেল ইসকনে
গোটা দেশের সঙ্গে এই রাজ্যেই চলছে SIR। ইতিমধ্যেই এনুমারেশন ফর্ম বিলি ও সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু SIR-এর মাধ্যমে ভোটার তালিকা সংসোধনের সময়ই সামনে এল অবাক করা তথ্য। যা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

SIR চলছে বঙ্গে
গোটা দেশের সঙ্গে এই রাজ্যেই চলছে SIR। ইতিমধ্যেই এনুমারেশন ফর্ম বিলি ও সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু SIR-এর মাধ্যমে ভোটার তালিকা সংসোধনের সময়ই সামনে এল অবাক করা তথ্য। যা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
SIR-এর বিভ্রাট ইসকনে!
ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে ইসকন মায়াপুরে সামনে এক একটি অবাক করা তথ্য। ভোটার লিস্টে ইসকন মায়াপুরের ৬০-৭০ জন ভোটারের বাবার নাম একই লেখা। যা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে রীতিমত শোরগোল পড়ে গেছে।
৬০ জনের বাবা এক!
স্থানীয় সূত্রে খবর ৬০-৭০ জনের বাবার নাম তালিকায় লেখা রয়েছে 'জয়পতাকা স্বামী দাস'। বিপুর সংখ্যক ভোটারের অভিভাবকের নাম এক হওয়ায় সেখানের ভক্তদের মধ্যেই শোরগোল পড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে এটি নিয়মের ব্যতিক্রম নাকি ইচ্ছেকৃত অনিয়ম?
নবদ্বীপে ভোটার!
স্থানীয় সূত্রের খবর মায়াপুরের ইসকনের একধিক ভক্ত ৭৭ নম্বর নবদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রের ১০ নম্বর অংশে ঠাকুর ভক্তিবিনোদ নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন। এঁদের সকলেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় হয় বাবা অথবা মায়ের নামের জায়গায় লেখা রয়েছে 'জয়পতাকা স্বামী দাস'। সম্পর্কের জায়গায় লেখা বাবা।
উদ্বেগ ভক্তদের মধ্যে
৬০-৭০ জন ভক্তের বাবার নাম একই লেখা থাকায় সংশ্লিষ্টদের ভক্তদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাদের আশঙ্কা তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে কিনা তা নিয়ে। যদিও ইসকন কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। ইসকনের তরফ থেকে বলা হয়েছে এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। এই বিষয়ে তারা কোনও মন্তব্য করবে না। বিএলও-এই বিষয়ে সবকিছু বলতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য
এই বিষয়ে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অফিসের একটি সূত্র মারফত খবর মিলেছে, একটি নির্দেশিকায় কমিশন এমন সম্পর্ককে মেনে নেওয়ার কথা বলেছে অর্থাৎ গুরু মহারাজকে ‘পিতা’ হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী জানিয়েছেন, “যে কোনও সম্পর্ক লেখা যেতে পারে। তবে এই বিষয়ে শুনানি হবে। আপাতত কোনও সমস্যা নেই।” অর্থাৎ, মায়াপুরের এই ভক্তদের তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার আশঙ্কা আপাতত কম। কিন্তু বিপুল সংখ্যক ভোটারের অভিভাবকের নাম একই হওয়ার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার রাজনৈতিক মহলে বেশ কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।

