TMC Councillor: তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারধর, মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ। থানায় দায়ের এফআইআর। বিশদে জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন… 

সোনারপুর: কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে স্ত্রীর উপর বর্বর মারধরের অভিযোগ। পুলিশের তদন্ত শুরু। জানা গিয়েছে, রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা পুরসভার CIC মেম্বার রঞ্জিত মন্ডলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তিনি তাঁর স্ত্রী মিতালি মন্ডলকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করে চলেছেন। সম্প্রতি এক ঘটনায়, মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন রঞ্জিত মণ্ডল। যার ফলে গুরুতর আহত হন তাঁর স্ত্রী মিতালি মণ্ডল। ঘটনার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তার চিকিৎসা হয়।

সূত্রের খবর, এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। আগেও একাধিকবার মিতালি মণ্ডলের উপর শারীরিক নিগ্রহ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের তরফেও। অভিযোগ, প্রতিবারই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীর উপর অকথ্য নির্যাতন চালান তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জিত মণ্ডল। তবে এই প্রথমবার মিতালি মণ্ডল সাহস করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যেই নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার বিষয়ে কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পথে হাঁটা হবে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউন্সিলরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে, কাউন্সিলারের পরিবারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। যদিও ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজপুর সোনারপুর এলাকায় শোরগোল পড়েছে। প্রশ্ন উঠছে, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি কেউ এভাবে স্ত্রীকে মারধর করেন, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? তদন্তের অগ্রগতি ও পুলিশের পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

অন্যদিকে, রথযাত্রার আগেই বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যের দুটি রথ যে রাস্তা পরিক্রমা করবে সেই রাস্তাগুলি ৭১ লক্ষ টাকা খরচ করে সংস্কার শুরু হয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে, খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ।

রথ উপলক্ষ্যে ৭১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী হল বিষ্ণুপুর পুরসভা। ১৩ই জুন শুক্রবার শহরের মুচিগলিতে ওই কাজের সূচনা করেন বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামী। পুরনো রীতি মেনে মল্ল রাজাদের আমল থেকে হইয়া আসা বিষ্ণুপুরের দুটি ঐতিহ্যের রথে শহর পরিক্রমা করে শ্রী শ্রী রাধা লাল জীউ এবং শ্রী শ্রী মদন গোপাল জীউ রাথে থাকে না সুভদ্রা বলরাম জগন্নাথ। আর এই রথ দেখতে শহরে জনজোয়ার সৃষ্টি হয়। তাই রথের পরিক্রমার আগেই রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে। রাস্তার সংস্কারের জন্য ৭১ লক্ষ ১১ হাজার ৩৩৭টাকা খরচ হবে। জানিয়েছ পৌরসভা। উল্টোরথের আগেই কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।

বিষ্ণুপুর শহরের কৃষ্ণগঞ্জ আট পাড়া ষোলোআনা কমিটি এবং মাধবগঞ্জ ১১ পাড়া ষোলোআনা কমিটি দু'টি পৃথক রথযাত্রার আয়োজন করে। প্রাচীন ওই দু'টি রথের সঙ্গে মল্লরাজাদের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। কৃষ্ণগঞ্জে রাধালালজীউ এবং মাধবগঞ্জে মদনগোপালজীউর। কৃষ্ণগঞ্জের রথ কৈলাসতলা, গোপালগঞ্জ, রসিকগঞ্জ, উকিলপাড়া, ঢেলাদুয়ার হয়ে মন্দিরে ফিরে আসে এবং মাধবগঞ্জের রথ মুচিগলি, বোলতলা, বাহাদুরগঞ্জ, চকবাজার, থানা মোড়, গোয়ালাপাড়া হয়ে মন্দিরে আসে। দুই রুটের রাস্তাই সংস্কার করছে পুরসভা।

উলটো রথের আগেই পথঘাট চকচকে হয়ে উঠবে জানিয়েছেন পৌরসভার চেয়ারম্যান। তিনি আরও জানান, প্রায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করা হবে। ‌ বৃষ্টিতে কয়েকদিন রাস্তা তৈরির কাজে বিঘ্ন ঘটলেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে রাস্তার সংস্কারের কাজ। তারা জানাচ্ছেন, রাস্তাগুলি খানাখন্দে ভর্তি ছিল। ‌ রথ যেতে সমস্যায় পড়তে হত। ‌ রাস্তা সংস্কারের জন্য পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষ সকলেরই অনেক উপকার হবে। শুধুমাত্র রথের জন্যই নয়, এই রাস্তাগুলোর উপর নিত্যদিনের যাতায়াতের নির্ভর করে। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষজন। প্রত্যক্ষভাবে তাদের উপকার হবে। স্বাভাবিকভাবেই পৌরসভার এই উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।