সংক্ষিপ্ত
আবারও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ালেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সোমবার আদালতে রত্নার কিছু মন্তব্যের উত্তর দিলেন বৈশাখীর ফেসবুক থেকে।
নাম না করে রত্নাকে ছেলেধরা বলে সম্বোধন করলেন। তাঁর নামেই সিঁদূর ও মঙ্গলসূত্র আজীবন পড়বেন। তিনি সিঁদুর পরতে বলেছেন। সোমবার রত্না চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক থেকে দিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রায় ১৭ মিনিটের ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। তাই তাঁর পাল্টা প্রশ্ন 'আপনি (রত্না) এই সব নিয়ে প্রশ্ন তোলার কে?' তিনি আরও অভিযোগ করেন আলিপুর আদালতে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে মামলা চলছে। সেখানে তাঁকে ও তাঁর সাক্ষী ডক্টর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় দেখানো হচ্ছে।
রত্না চট্টোপাধ্যায়ের নাম না করেও শোভন চট্টোপাধ্যায় তাঁর উদ্দেশ্যে রীতিমত কড়া কথা বলেন। শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, পাঁচ বছর আগে তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন। সেই সময় তিনি জনপ্রতিনিধি ছিলেন। কিন্তু তখন তিনি তাঁর ক্ষমতা ব্যবহার করেন। অথচ আর রত্না জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন। নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ করেন। শোভন বলেন জনপ্রিতিধি দলের ছেলেদের নিয়ে আদলত বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এটা তাঁকে মানায় না বলেও দাবি করেন শোভন। রত্নার নাম না করে শোভন তাঁর বদলানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন তাঁর ২২ বছরের বিবাহিত জীবন ভুল ছিল। পাঁচ বছরে তিনি অনেক কিছু পেয়েছেন।
শোভন চট্টোপাধ্যায় রত্না চট্টোপাধ্যায়ের নাম না করে রত্নার তোলা প্রশ্নের একের পর এক উত্তর দিয়ে যান। তবে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি রত্না সম্পর্কেই সব কথা বলছেন। রত্না অভিযোগ করেছেন বৈশাখী তাঁর মেয়ে মহুলকে শোভনের সন্তানের পরিচয় বাড় করতে চাইছে। রত্নার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন শোভন। পাল্টা শোভন বলেন, বৈশাখী নিজের ক্ষমতাতেই নিজের সন্তানকে বড় করতে চান। শোভন আরও বলেন, বৈশাখীকে তিনি সম্মান করেন। তাঁর সম্মান আরও বেড়ে গিয়েছে যেদিন আদালত বলা সত্ত্বেও প্রাক্তন স্বামীর থেকে মেয়ের জন্য কোনও টাকাপয়সা নেননি। কিন্তু রত্না ঠিক তার উল্টো কাজ করেছেন। তিনি যখন অসুস্থ ছিলেন তখন ছেলে মেয়েকে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন পাওয়ার অব অ্যাটর্নির দাবিতে। তিনি আরও বলেন তাঁর খারাপ সময় তাঁর পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে এনেছিলেন। তিনি এদিন স্পষ্ট করে জানিয়েদেন তিনি রত্নার দুই ও বৈশাখীর এক সন্তানের বাবা। প্রত্যেকেরই দায়িত্ব তিনি নিতে চান।
রত্না বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেলেধরা বলে মন্তব্য করেছেন। তার উত্তরে রত্নাকে পাল্টা ছেলেধরা বলে মন্তব্য করেন শোভন। তিনি বলেন, এইজাতীয় কাজেই তিনি বর্তমানে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। একপরই রত্নার সঙ্গী বলে পিকলুকেও আক্রমণ করেন। বলেন রত্নার সর্বক্ষণের সঙ্গী পিকলু। তাঁর সঙ্গে আদালতেও আসে। সেই পিকলু অভিনেতা সোহমকেও মারতে গিয়েছিল। বৈশাখীকে অভদ্র বলে মন্তব্য করেছিলেন রত্না। তার উত্তরে শোভন বলেন বৈশাখীর পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। যা রত্নার নেই। তিনি আরও বলেন, রত্না ভদ্রলোকেদের সঙ্গে মেশেন না। তাই তিনি জানেন না কারা ভদ্র আর কারা অভদ্র। তবে শেষে শোভন বলেন তিনি রত্নার হাত থেকে মুক্তি পেতে চান।
আরও পড়ুনঃ
মহিলাদের থেকে পুরুষদের মধ্যে কোভিডে মৃত্যুর হার বেশি কেন? বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন এর উত্তর
বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে কঠোর প্রশাসন, শুক্রবার ভোর থেকে অভিযানে পুলিশের জালে ১৮০০ জন