সংক্ষিপ্ত

আর মাত্র কয়েকটা দিন। 

আর সেই জন্য দফায় দফায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সেরে নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। এবার পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে স্নানঘাটের সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে। প্রতি বছর মুড়িগঙ্গা নদীতে পলি জমে যাওয়ার জেরে, ভেসেল পরিষেবা যথেষ্ট বিঘ্নিত হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভেসেল ঘাটে অপেক্ষা করতে হয় পুণ্যার্থীদের।

তবে এবার সেই অসুবিধার কথা মাথায় রেখে মুড়িগঙ্গার নাব্যতা বাড়ানোর জন্য চলছে ড্রেজ়িং। সোমবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা শাসকের দফতরে সরকারি পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত। জানা যাচ্ছে, বৈঠকে গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। ড্রেজ়িং-এর কাজ দেখার পর জেলাশাসক জানিয়েছেন, “এই বছর পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা ভেসেল পরিষেবা চালু থাকবে। কুয়াশা থাকার কারণে, বিভিন্ন সময় ভেসেল দিক্নির্ণয় করতে না পেরে চড়ায় গিয়ে আটকে যায়। এবার সেই সমস্যা সমাধান করতে ‘অ্যান্টি ফগ লাইট’এবং ইসরোর অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকবে।”

তাঁর কথায়, “গঙ্গাসাগর মেলার সময় বাবুঘাট থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত থাকছে কন্যাশ্রীদের জন্য ‘বাফার জ়োন’। পুণ্যার্থী এবং দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে থাকছে ২১টি জেটি, ৯টি অত্যাধুনিক বার্জ এবং ৩৫ টি ভেসেল। প্রতিটি বাফার জ়োনে থাকবে পানীয় জল এবং চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা।

প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, মেলাকে কেন্দ্র করে পাঁচটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স এবং ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা থাকবে। সুন্দরবন জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও এন জানিয়েছেন, “গঙ্গাসাগর মেলার জন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিক-সহ প্রায় ১,১৫০জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে। সিসিটিভির মাধ্যমে চলবে নজরদারি। খোলা হবে মেগা কন্ট্রোল রুম। গঙ্গাসাগর মেলাতে কোনওরকম গন্ডগোল যাতে না হয়, সেই জন্য ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালানো হবে। জলপথে নজরদারি করবে স্পিডবোট এবং হোভারক্র্যাফ্ট। এছাড়াও ২,৫০০ সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হচ্ছে।”

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।