সংক্ষিপ্ত

‘কেউ এভাবে জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত নন’, এই যুক্তিতে আইনজীবী আবেদন জানান, জেলে যেন অন্ততপক্ষে একটি করে খাট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। 

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০২২-এর জুলাই মাস থেকে বন্দি রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে সহ মোট ৭ জনকে জেল থেকে এনে আলিপুর সিবিআই আদালতে তোলা হয় বৃহস্পতিবার। এই অভিযুক্তদের আরও ১৪ দিন জেল হেফাজত দেওয়ার আবেদন জানায় সিবিআই। অপরদিকে, আসামী পক্ষের আইনজীবীদের জামিনের আবেদনও শুনেছেন সিবিআই বিচারক অর্পণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। সব দিক বিচার করে আলিপুর আদালত এই ৭ অভিযুক্তকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

জেল হেফাজতের নির্দেশ পাওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং অসীম সাহা সহ মোট পাঁচজন আসামির বয়স প্রায় সত্তরোর্ধ্ব। এঁরা মন্ত্রী অথবা রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন উচ্চ পদে আসীন ছিলেন।

অভিযোগ ওঠে, শিক্ষা দফতরের ক্ষমতাসীন পদগুলির অপব্যবহার করে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন এঁরা সকলেই। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী আদালতের কাছে অভিযোগ জানান যে, তাঁর মক্কেল কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সহ অন্যান্যদের বয়স ৭০ কিংবা তারও বেশি। এই প্রচণ্ড শীতে এঁদের সবাইকে ঠান্ডা মেঝেতে বিছানা পেতে ঘুমোতে হচ্ছে। তাঁরা কেউ ওই ভাবে জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত নন। এই যুক্তিতে আইনজীবী আদালতের কাছে আবেদন করেন যে, তাঁর মক্কেলসহ অন্যান্যদের জন্য জেলে যেন অন্ততপক্ষে একটি করে খাট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

খাটের আবেদন শোনার পর বিচারকের বক্তব্য ছিল, আমার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। যদি জেলের নিয়মে খাট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে, তাহলে সেই খাটের জন্য সুপারিশ করতে পারেন। বিষয়টি আবেদন আকারে জানানোর পরেই আদালত কক্ষে বেশ গুঞ্জন শুরু হয়। জেলে আসামীদের খাট দেওয়ার এর আগে কোনও আইনজীবী আবেদন করেছেন কিনা, তা নিয়েও চাপা আলোচনা শুরু হয়ে যায়। তবে, এসপি সিনহার আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত দাবি করেন, তাঁর মক্কেল সহ অন্যান্যদের উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা থেকে শুরু করে খাবারদাবার বা আরও অন্যান্য কোনও কিছুরই যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না জেল কর্তৃপক্ষ। সেই কারণে জেল সুপারকে আদালতে ডেকে পাঠানো হোক বলে দাবি করেন সঞ্জয় দাশগুপ্ত।

আরও পড়ুন-
২০২৩ সালে কলকাতা বইমেলার থিম দেশ ‘স্পেন’, নয়াদিল্লিতে স্পেনীয় রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিশেষ বৈঠক
হারিয়েছিলেন মোবাইল, জরিমানা দিতে হল বাইকের জন্য, রাজারহাটে পুলিশের জালে কীর্তিমান যুবক
জানুয়ারির শুরুতেই চিনে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে কোভিড, প্রতিদিন জরুরি ভিত্তিতে ভর্তি হচ্ছেন প্রায় ১৬০০ রোগী