- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- ভাতা কেন দেওয়া হচ্ছে? কলকাতা হাইকোর্টে আবারও প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার
ভাতা কেন দেওয়া হচ্ছে? কলকাতা হাইকোর্টে আবারও প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার
SSC Scam case: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডির চাকরিহারা কর্মীদের ভাতা দেওয়ায় আবারও প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার। কেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও স্ক্রুটিনি ছাড়াই ভাতা দিচ্ছে রাজ্য, প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

এসএএস নিয়োগ দুর্নীতি মামলা
সুপ্রিম কোর্টের পর এবার হাইকোর্টে আবারও উঠল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। তবে এবার নিয়োগ নিয়ে নয়, ভাতা দেওয়ার বিরোধিতা করেই মামলা হল কলকাতা হইকোর্ট।
গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গ্রুপ সি আর গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে এত দুর্নীতি হয়েছে সেখানে আর যোগ্য অযোগ্য বাছাই করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেছিল শীর্ষ আদালত।
চাকরিহারিয়ে আন্দোলন
সুপ্রিম কোর্টের এই ঘোষণার পরই গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরা চাকরিহারিয়ে শিক্ষকদের মতই আন্দোলন শুরু করে।
পাশে রাজ্য সরকার
কিন্তু সেই সময় চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের পাশে দাঁড়ায় রাজ্য সরকার। ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে।
ভাতার পরিমাণ
রাজ্য সরকার সেই সময় জানিয়েছিল গ্রুপ সি কর্মীদের মাসে ২৫ হাজার আর গ্রুপ ডি কর্মীদের মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েও গিয়েছে চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীরা।
কেন ভাতা দেওয়া হবে?
চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের কেন ভাতা দেওয়া হবে? রাজ্য সরকারের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মামলাকারীদের দাবি ছিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্দেশে চাকরি গিয়েছে অনেকের। কিন্তু নিয়োগে দুর্নীতি থাকায় অনেকেই চাকরি পাননি। তাদের কী হবে? তাদের কেন ভাতা দেওয়া হবে না? তারা কেন বঞ্চিত থাকবে?
কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি
কলকাতা হাইকোর্টে এদিন সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপিত অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। তাতেই রাজ্যকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
মামলাকারীদের পক্ষে সওয়াল
মামলাকারীদের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর প্রশ্ন ছিল সুপ্রিম কোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশের পর চাকরিহারাদেশ পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার সরকারি রাজকোষের টাকা ব্যায় করছে। সংবিধানের ২৮২ নম্বর অনুচ্ছেদের প্রসঙ্গ তুলে বিকাশ জানান, সংবিধান জনস্বার্থে সরকারকে টাকা খরচ করার ক্ষমতা দিয়েছে। কিন্তু চাকরিচ্যুতদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত আদৌ জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিষয় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রাজ্যের হয়ে সওয়াল
এই মামলায় রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন অ্যাডভোকেড জেনারেশ কিশোর দত্ত। তিনি বিষয়টি নিয়ে সবিস্তারে জানানোর কথা বলেন।
বিচারপতি বলেন
তখন বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, বিষয়টি নিয়ে দুপুরেই শুনবেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি শুরু হয় দুপুর ২টো নাগাদ।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্ন
যদিও এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টকে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর স্ক্রুটিনি ছাড়াই কেন তড়িঘড়ি এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
মৌখিক নির্দেশ
মৌখিকভাবে কলকাতা হইকোর্ট আপাতত ভাতা দেওয়ার বিষয়টি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকারকে।

