সংক্ষিপ্ত
ছাত্রী গরিব হওয়ার কারণে তিনি নিজের টিউশন ফি দিতে পারেননি শিক্ষককে। টাকা দিতে না পারার খেসারৎ তাঁকে দিতে হয়েছে নিজেকে সমর্পণ করে দিয়ে।
শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। কথিতভাবে শিক্ষক -শিক্ষিকারা যতই সমাজ গড়ার কারিগর হয়ে থাকুন, ব্যক্তিগত জীবনে তাঁরাও প্রেম -ভালোবাসা বর্জন দিয়ে অসামান্য মানুষ হয়ে উঠতে পারেন না। সাধারণ মানুষের মতোই তাঁদের জীবনযাপন। কিন্তু, সম্পর্ক যদি তৈরি হয় প্রেম ভালোবাসার বাইরে গিয়ে এবং জোর করে চাপ সৃষ্টি করে, তাহলে তা শিক্ষকতার ক্ষেত্রে অবশ্যই অনৈতিক বলে গণ্য করা যেতে পারে। তেমনই কাণ্ড ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে যে, একজন ছাত্রী গরিব হওয়ার কারণে তিনি নিজের টিউশন ফি দিতে পারেননি শিক্ষককে। টাকা দিতে না পারার খেসারৎ তাঁকে দিতে হয়েছে নিজেকে সমর্পণ করে দিয়ে। ঘটনাটি প্রথমে ভাইরাল হয়েছিল ইনস্টাগ্রামে। তারপর ধীরে ধীরে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওটিতে দেখা গেছে, শিক্ষক এবং ছাত্রী , দুজনেই পাশাপাশি দাঁড়িয়ে রয়েছেন । ছাত্রীর সিঁথি সিঁদুরে ভরা। এমন বিয়ের কারণটিও অদ্ভুত। শিক্ষকের কাছে টিউশন পড়তেন ওই ছাত্রী। কিন্তু, আর্থিক অনটনের দরুন টিউশনের ফি দিতে অসমর্থ ছিলেন তিনি। টাকা দেওয়ার জন্য অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি শিক্ষকের বেতন দিতে পারেননি। সেই বেতন এখন প্রায় ১০ হাজার টাকার কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেন শিক্ষক। অত টাকা দিতে না পারায় শেষমেশ শিক্ষকের বিয়ের প্রস্তাবেই রাজি হয়ে যেতে হয় অসহায় ছাত্রীকে।
শিক্ষক বলেছেন, ‘১০ হাজার টাকা ও আমাকে দিতে পারবে না। এটা জানার পর আমরা অনেক ভাবনাচিন্তা করি। তারপর আমরা একে অপরকে বিয়ে করে নিই’। এরপর তিনি একথাও জানিয়েছেন, ‘ও এখন আর আমার ছাত্রী না। ও আমার স্ত্রী।'