সংক্ষিপ্ত

১৩ তারিখ রাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রছাত্রীদের অবস্থান মঞ্চ ভেঙে দিল বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা। এমনকি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

শুনশান মধ্যরাতে আবার উত্তাল হয়ে উঠল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলনকারী ছাত্রদের দিকে ইতিমধ্যেই ঢিল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে উপাচার্য বিদ্যুৎ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। এরপর ১৩ তারিখ রাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রছাত্রীদের অবস্থান মঞ্চ ভেঙে দিল বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা।

অবস্থানরত ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁদের মারধর করেছেন। বিগত কয়েকদিন ধরেই ছাত্র বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগ দাবি করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে দীর্ঘ ২০ দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। মঙ্গলবার নিজের বাসভবন থেকে বাইরে বেরিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। তাঁর বেরোনোকে কেন্দ্র করে আবার উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। ওই জায়গায় নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে গিয়ে ছাত্রদের মারধর করানো হয় বলে অভিযোগ।

এই ঘটনার পরেই মধ্যরাতে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা ছাত্রছাত্রীদের অবস্থান মঞ্চ ভেঙে ফেলেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। অভিযোগ, মধ্যরাতে হঠাতই বিশ্বভারতী নিরাপত্তা কর্মীরা গিয়ে তাঁদের অবস্থান মঞ্চ ভাঙচুর করেন। এমনকি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়।

আরেকদিকে, বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার অশোক মাহাতোর দাবি, মধ্যরাতে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঢিল ইট ছোড়া হচ্ছে। সেই কারণেই বিশ্বভারতীর নিরাপত্তাকর্মীরা মধ্যরাতে গিয়ে অবস্থান মঞ্চ ভেঙেছেন এবং সেখান থেকে বেশ কিছু বোল্ডার ইটও উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কাছে একাধিক দাবি নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা যখন দেখা করতে গিয়েছিলেন, সেই সময় উপাচার্য তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের নির্দেশ দেন পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। উপাচার্যকে ঘেরাও করে শুরু হয় বিক্ষোভ। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের ধস্তাধস্তি চলে। ছাত্র বিক্ষোভে থাকার কারণে এক অধ্যাপককেও শোকজ করা হয়েছিল।


আরও পড়ুন-
পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে জোরালো স্ট্র্যাটেজি তৈরিতে লেগে পড়ল পদ্মশিবির, নয়াদিল্লিতে বিজেপির বৈঠকে থাকছেন দিলীপ-শুভেন্দু
মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়েই পিছু হঠল জিনপিং সরকার, লকডাউন বিধি শিথিলের পর এবার কোভিড অ্যাপ বন্ধ করল চিন প্রশাসন