সংক্ষিপ্ত
হুড়মুড়িয়ে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বাড়ছে অস্বস্তি। উত্তরেও একই দশা। সকাল হতেই ভ্যাপসা গরম, অস্বস্তি চরমে। এই আবহে গরমের ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত অভিভাবকদের। বেশ কষ্ট করে স্কুল করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের।
গরম কমার কোনও লক্ষ্মণ নেই। চিটচিটে ঘামে সারাদিন জেরবার মানুষ। মাঝে বেশ কিছুদিন টানা বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা কমেছিল। সেই সময় স্কুল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল একাধিক শিক্ষা সংগঠন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের নির্দেশ মত সরকারি বেসরকারি সব স্কুলই প্রায় খুলে গিয়েছে। উল্লেখ্য, দক্ষিণবঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে গত ২২ এপ্রিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আগাম গরমের ছুটি ঘোষণা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
হুড়মুড়িয়ে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বাড়ছে অস্বস্তি। উত্তরেও একই দশা। সকাল হতেই ভ্যাপসা গরম, অস্বস্তি চরমে। এই আবহে গরমের ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত অভিভাবকদের। বেশ কষ্ট করে স্কুল করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের।
গরমের ছুটি কাটিয়ে যেদিন স্কুল খুলল সেই দিন মারাত্মক গরম শুরু হয়। এমন পরিস্থিতির কারণে এমনিতেই স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। এছাড়াও অনেকেই রয়েছেন যারা স্কুল চলাকালীন বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হয়। বাঁকুড়ায় পড়ুয়াদের অসুস্থতার খবরও পাওয়া গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দাবি উঠছে ফের স্কুল ছুটি দেওয়ার অথবা স্কুলের সময় বদলে সকালে অর্থাৎ মর্নিং স্কুল করানোর।
নিয়মমত সোমবার স্কুল খুলে গিয়েছে। পরিস্থিতি যা তাতে সোমবার স্কুলে এসে বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা সামনে এসেছে। আর ঠিক সেই রকমই আগামী দিনেও এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকদেরও অনেকেই তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে নারাজ। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য শিক্ষা দপ্তর কি সিদ্ধান্ত নেয় তাই দেখার। কেননা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই এমন কঠিন পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলেই হাওয়া অফিসের তরফে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
সোমবার পরিস্থিতি দেখে এমনিতেই বেসরকারি বেশ কিছু স্কুল রয়েছে যেগুলি ফের বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলের গরমের ছুটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৭ জুন। তবে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা এবং অভিভাবকরা সরকারি স্কুলের পুনরায় ছুটি অথবা মর্নিং স্কুল করার দাবি তোলা হলেও এখনো পর্যন্ত কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।