সংক্ষিপ্ত
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হেস্টোলের তিনতলার বারান্দা থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায় নিহত ছাত্রের সারা সরীরে কোনও কাপড় তো দূরের কথা একটি সুতো পর্যন্ত ছিল না।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের পডুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যু নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। স্বপ্নদীপের মৃত্যু নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে রাজ্যরাজনীতিতে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ক্রমশই সামনে আসছে ব়্যাগিংএর তত্ত্ব। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অনেকেই। এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কীভাবে ব়্যাগিং করা হয়েছিল স্বপ্নদীপকে। কারণ প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী স্বপ্নদীপ মৃত্যুর আগে বারবার বলেছিলেন 'আমি সমকামী নই'।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হেস্টোলের তিনতলার বারান্দা থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায় নিহত ছাত্রের সারা সরীরে কোনও কাপড় তো দূরের কথা একটি সুতো পর্যন্ত ছিল না। তাতেই প্রশ্ন উঠছে কীভাবে ব়্যাগিং করা হয়েছে যে একটি ছাত্র বিবস্ত্র অবস্থায় তিন চলা থেকে নিচে পড়ে যায়। স্বপ্নদীপের সহপাঠীরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাতে স্বপ্নদীপ বারবার শৌচাগারে যাচ্ছিল। অস্থির দেখাচ্ছিল স্বপ্নদীপকে। শেষপর্যন্ত সে গামছা পরেই ঘোরাফেরা করছিল। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ব়্যাগিংএর নামে কি স্বপ্নদীপকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছিল? অনেকেই মনে করছে ব়়্যাগিংএর নামে ভয়ঙ্কর অত্যাচারের মুখোমুখি হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র। যার উত্তর এখনও অধরা তদন্তকারীদের কাছে।
Independence day 2023: প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল কলকাতায়, জানুন ১০টি অজানা তথ্য
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বপ্নদীপের এক সহপাঠী জানিয়েছেন, স্বপ্নদীপকে বুধবার রাতে দীর্ঘসময় ধরে কাউন্সেলিং করা হয়েছিল। কারা করেছিল এই কাউন্সেলিং- এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন সিনিয়র দাদারা। কিন্তু দাদারা কেন কাউন্সেলিং করবে , এই প্রশ্নের কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। সহপাঠীর বয়ান অনুযায়ী কাউন্সেলিং-এর পরই অস্থির হয়ে পড়ে স্বপ্নদীপ। কোনও কথার সঠিক উত্তর দিতে পারছিল না। তারপরই সে বারবার বলতে শুরু করে সে সমকামী নয়। পুলিশ সূত্রের খবর এই তথ্য সংগ্রহ করে মিসিং লিঙ্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা করেছে।
খুনের অভিযোগ দায়ের করলেন স্বপ্নদীপের বাবা, জানুন কী বলছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে হোস্টেলের প্রথম দিনেই ভয়ঙ্কর ব়্যাগিংএর শিকার হয়েছিল প্রথম বর্ষের ছাত্র। যার রেশ পড়ুয়া কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ইতিমধ্যেই এক প্রাক্তনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু অনুমানে এই ঘটনার পিছনে আরও অনেকেরই হাত রয়েছে। কিন্তু স্বপ্নদীপের মৃত্যু আবারও প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটির অস্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও যাবদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মত রাজ্যের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় এখনও ভয়ঙ্কর ব়্যাগিংএর শিকার হতে হয় নবীন পড়ুয়াদের। ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
লোকসভা থেকে সাসপেন্ড অধীর, রণকৌশল ঠিক করতে সাংসদদের নিয়ে বৈঠক সনিয়ার