সংক্ষিপ্ত
ঘনিষ্ট মহলে তাপস রায় জানিয়েছেন, অভিমান থেকেই তিনি দল ছাড়ছেন। তাঁর বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হানা দিয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে তৃণমূল নেত্রী চুপ ছিল
লোকসভা ভোটের আগেই বড় ধাক্কা তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরের। দল ছাড়লেন তিন বারের বিধায়ক ও রাজ্যের হেভিওয়েট প্রার্থী তাপস রায়। গত ১ মার্চ দলের একাধিক পদ থেকেই তিনি পদত্যাগ করেছেন বলেও জানিয়েছেন।তিনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের রাজ্যসভাপতি সুব্রত বক্সিকেও পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। সোমবার বিধানসভায় গিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। শেষপর্যন্ত তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। বিধানসভা সূত্রের খবর এখনও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মঙ্গলাবর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার। তেমনই জানিয়েছেন।
তাপস রায়ের দল ছাড়ার কারণ-
ঘনিষ্ট মহলে তাপস রায় জানিয়েছেন, অভিমান থেকেই তিনি দল ছাড়ছেন। তাঁর বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হানা দিয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে তৃণমূল নেত্রী চুপ ছিল। সেই অভিমান থেকেই তাপস রায় দল ছাড়লেন বলে সূত্রের খবর। তাপসের ঘনিষ্টদের বক্তব্য তাঁর বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হানার পিছনে দলের একাংশের হাত রয়েছে। দলও এই বিষয়ে নীরব ছিল। ইডির হানার পর দলনেত্রী বা দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দেয়নি। যদিও দলের একাধিক পদ ছাড়ার পরই তাপস রায়ের সঙ্গে কথাবার্ত চলছিল। কিন্তু বিদ্রোহে অনড় ছিলেন তিনি। পার্থ ভৌমিক রবিবার রাতেই তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল। অন্যদিকে এদিন সকালেও তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল ব্রাত্য বসু আর কুণাল ঘোষ। কিন্তু অভিমানী তাপস নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন।
তাপসের পরবর্তী গন্তব্যঃ
তাপস রায় জানিয়েছেন, তিনি এখন স্বাধীন। তিনি এখন মুক্ত। তিনি আরও বলেছেন,'তৃণমূল আমার জন্য নয়। এখানে কিছু মানুষের জন্য সকলকেই দুর্নীতিগ্রস্ত মনে করা হচ্ছে। যেখানেই গিয়েছি দুর্নীতির কথা শুনেছি। সন্দেশখালি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আমি বিড়ম্বনায় পড়েছি।' অনেকেই মনে করছেন, তাপস রায় লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। তিনি উত্তর কলকাতায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদ্মফুল প্রতীকে লড়াই করতে পারেন। অনেকে আবার এগিয়ে গিয়ে বলেছেন, মোদীর সভাতেই তাপস রায় বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।