সংক্ষিপ্ত
বাংলার উপনির্বাচনে ৬টি আসনে পরাজিত বিজেপি। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। বিজেপির পরাজয়ের মন্তব্য নিয়ে 'বিস্ফোরক' মন্তব্য করে বসলেন এই প্রবীণ নেতা। পদ্ম শিবিরের এই পরাজয় নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি নিশানা করলেন রাজ্য বিজেপির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও। এছাড়াও তিনি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে 'পার্টটাইম সভাপতি' বলেও অভিহিত করেছেন। বাংলার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে কেন পূর্ণকালীন রাজ্য সভাপতি নেই সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি বলেন, 'মানুষকে কী বলতে হবে কেউ জানে না। বিজেপি বাঙালি বিরোধী, মমতাকে নিশানা করে বাংলার বিরোধিতা নেই।
জানিয়ে রাখি, গতকাল বাংলার ৬টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। উপনির্বাচনেও জিতেছে তৃণমূল। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬টিতে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে। বিরোধী প্রার্থীরা জিততে পারেনি। উত্তরবঙ্গের মাদারিহাটে ইতিহাস গড়ল তৃণমূল। আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রে এই প্রথম ঘাস গজিয়েছে। একুশ নির্বাচনে মাদারিহাট আসনটি বিজেপির দখলে ছিল। তবে উপনির্বাচনেও হেরেছে জাফরান শিবির। এই ফল দেখে বিজেপির সাংগঠনিক প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়।
ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'বিজেপি বাংলার একটি সমস্যাগ্রস্ত দল। তারাই রাজ্যের দ্বিতীয় দল। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে একজন খণ্ডকালীন বিজেপি সভাপতি দল চালাচ্ছেন। কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।' পোস্টে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডাকেও ট্যাগ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, সুচিন্তিত পরিকল্পনা না থাকলে বাংলায় বিজেপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা কম। বিজেপি তখনই ক্ষমতায় আসতে পারে যখন সুচিন্তিত পরিকল্পনার মাধ্যমে রাজ্যের মানুষকে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাতে পারে। এছাড়াও, সংগঠনের বিচ্যুতি দূর করতে হবে।
তার পোস্টে, প্রবীণ বিজেপি নেতা আরও লিখেছেন, 'অভিষেকের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত মামলার মুখে নিষ্ক্রিয়তা মানুষকে বিশ্বাস করেছে যে মমতা এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে একটি বোঝাপড়া রয়েছে। মমতা এই ধারণা তৈরি করেছেন যে বিজেপি একটি হিন্দিভাষী, বাঙালি বিরোধী দল। মমতা যদি পাল্টা ধারণা তৈরি করতে ব্যর্থ হন তবে তিনি চিরকাল বাংলা শাসন করবেন। এ সবই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিবেচনাধীন বিষয়। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র ১৭ মাস বাকি।