সংক্ষিপ্ত
ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে জয়ন্ত সিং ও তার সাগরেদরা এক তরুণীকে মারধর করেছে। মহিলাকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল।
চোপড়াকাণ্ডের ছায়া আড়িয়াদহে। এখানেও তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্রের ঘনিষ্ট সহযোগী হিসেবে পরিচিত জয়ন্ত সিং এক মহিলাকে নির্যাতন করছে। সঙ্গে রয়েছে তার সাগরেদরা। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে এই রাজ্যে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে জয়ন্ত সিং ও তার সাগরেদরা এক তরুণীকে মারধর করেছে। মহিলাকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল। যা নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অনেকেই নিন্দা করেছেন। রাজ্যে মহিলার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রাজ্যে মহিলাদের ন্যায় বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলতেও শুরু করেছে। দেখুন সেই ভিডিও। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।
ভাইরাল ভিডিও নিয়ে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই বিষয়টিকে রাজনৈতিক স্তরে নিয়ে গেছেন। এক নেটিজেন বলেছেন, 'ওটা একটা মেয়ে যাকে মারধর করা হচ্ছে। তার চিৎকার আপনার হৃদয়কে ছিন্নভিন্ন করে দেবে। আরে রাহুল গান্ধী, আপনি কি এই জায়গায় যাওয়ার সাহস করবেন?' বর্তমানে রাহুল গান্ধী রয়েছেন মণিপুরে। যেখানে মহিলাদের ওপর হওয়া নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রসেও।
এক নেটিজেন আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, এটি তালেবান বা পাকিস্তান নয় এটি টিএমসি শাসিত পশ্চিমবঙ্গের টিএমসি গুন্ডা জয়ন্ত সিং (টিএমসি বিধায়ক মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠ সহযোগী) তার ক্যাঙ্গারু কোর্টে একটি মেয়েকে তার দলবল নিয়ে মারধর করছে!অনেকেই আবার গোটা ঘটনাকে ভয়াবহ বলেছে। অনেকেই বিষয়টি রাহুল গান্ধীর নীরবতা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
চোপড়াকাণ্ডঃ
স্থানীয় সূত্রের খবর বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন এই তরুণ আর তরুণী। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে গ্রামে তাদের বিচারের জন্য সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। যার হর্তাকর্তা ছিল তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ট জেসিবি। সেখানেই জেসেবি দুই জনকে রাস্তাতেই মারধর করতে থাকে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জেসিবি মারধর করছিল বলেই ভয়ে কেউ তাদের উদ্ধার করতে যায়নি। পরে অবশ্য গোটা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলেই জেসিবি পালিয়ে যায়। গাঢাকা দেয়। কিন্তু এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জেসিবিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এই ঘটনার ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। যা নিয়ে রবিবার থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছে বিজেপি। পাশাপাশি রাজ্যের কংগ্রেস ও সিপিএম নেতারাও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারকে তুলোধনা করছে।