ছেলে জিতেন্দ্র পাশীর অভিযোগ, "আমি মাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। কিন্তু সকালে এসে দেখি, মায়ের দেহ হাসপাতালের বাইরে পড়ে আছে। হাসপাতালের গাফিলতির জেরেই মায়ের মৃত্যু হয়েছে।" স্থানীয় বাসিন্দারাও হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন।
রাতে মা-কে ছেলে হাসপাতালে ভর্তি করে এসেছিল। সকালে যেতেই দেখা গেল বাইরে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। এই ঘটনা সামনে আসতেই তুমুল উত্তেজনা হাওড়ায়। হাসপাতালের তরফ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হলেও পরিবারের লোকজন হাসপাতালের গাফিলতিতে সরব হয়েছেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার সাঁকরাইল গ্রামীণ হাসপাতালে। রাতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সকালে বাইরে পড়ে থাকতে দেখা যায় এক বৃদ্ধার মৃতদেহ। জানা গিয়েছে, ৬২ বছরের মৃত বৃদ্ধার নাম কল্পতি পাশী। তার ছেলে জিতেন্দ্র পাশীর অভিযোগ, "আমি মাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। কিন্তু সকালে এসে দেখি, মায়ের দেহ হাসপাতালের বাইরে পড়ে আছে। হাসপাতালের গাফিলতির জেরেই মায়ের মৃত্যু হয়েছে।" স্থানীয় বাসিন্দারাও হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তাদের দাবি, হাসপাতালে কোনো নিরাপত্তারক্ষী নেই। ফলে, যে কেউ যখন খুশি হাসপাতালে ঢুকতে ও বেরোতে পারে। এমনকি, হাসপাতালের কর্মীরাও রোগীদের প্রতি উদাসীন।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে পেটে যন্ত্রণা নিয়ে সাঁকরাইলের হাজি এসটি মল্লিক গ্রামীণ হাসপাতালে কল্পতি পাশী নামে ওই বৃদ্ধাকে তার ছেলে সহ স্থানীয় বাসিন্দারা ভর্তি করান। পরের দিন সকালে হাসপাতালের বাইরে বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত বৃদ্ধার ছেলে অভিযোগ করেন, "মা হাসপাতালের বাইরে অথচ জানে না কর্তৃপক্ষ। রাতে হাসপাতালে ভর্তি করে গেলাম। অথচ সকালে এসে দেখছি বাইরে পড়ে আছে। চিকিৎসক বলছে মা হাসপাতালে আসেনি।"
পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের গাফিলতির কারণে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামীণ হাসপাতালে কোনো নিরাপত্তারক্ষী নেই। এই ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ঘটনার তদন্তের জন্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক একটি কমিটি গঠন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তদন্তে কোনো গাফিলতি প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন হাসপাতালের রোগী ও তার পরিজনেরা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর কীভাবে বৃদ্ধা বাইরে বেরিয়ে গেলেন? হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাব কেন? হাসপাতালের কর্মীদের ভূমিকা কি ছিল? এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন রোগী ও তাদের পরিজনেরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


