সংক্ষিপ্ত
কলকাতার অন্যতম ব্যস্ততম সেতু হল হাওড়া ব্রিজ।
দীর্ঘ ৮১ বছর ধরে মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হল এই হাওড়া ব্রিজ। পথচলা শুরু সেই ১৯৪৩ সালে। লক্ষাধিক মানুষ এবং যানবাহনের ভর বহন করে চলেছে এই ব্রিজ। কিন্তু ১৬ তারিখ, অর্থাৎ শনিবার রাত ১১টা থেকে রবিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে হাওড়া ব্রিজ। সেইসঙ্গে, বন্ধ সমস্তরকমের যান চলাচল।
আর এই পাঁচ ঘণ্টা কোন রাস্তাগুলি দিয়ে যাতায়াত করা যাবে, তাও একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে হাওড়া পুলিশ। জানা যাচ্ছে, হাওড়া থেকে কলকাতাগামী সমস্ত যানবাহন ফরশোর রোড হয়ে বিদ্যাসাগর সেতু হয়ে কলকাতায় যেতে পারবে। অন্যদিকে, দক্ষিণ হাওড়া এবং পশ্চিম হাওড়া থেকে উত্তর কলকাতাগামী গাড়িগুলিকে নিবেদিতা সেতু অথবা বালি ব্রিজ হয়ে গোলাবাড়ি এলাকা দিয়ে যেতে হবে।
কারণ, সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ চলবে। আর এই কাজ করবেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়ারেরা। এর আগে সেই ১৯৮৩ এবং ১৯৮৮ সালে হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছিল। তারপর ৪০ বছরের মধ্যে আর এই সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার দরকার পড়েনি। শেষবার এই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছিল RITES Limited নামক একটি পাবলিক সেক্টর।
প্রসঙ্গত, হাওড়া ব্রিজ একটি সাসপেনশন টাইপ ব্যালান্সড ক্যান্টিলিভার কাঠামো, যা তার নির্মাণশৈলীর জন্য গোটা বিশ্বে ষষ্ঠ দীর্ঘতম একটি সেতু। বিদ্যাসাগর সেতু নির্মাণের পরেও হাওড়া ব্রিজের গুরুত্ব একটুও কমেনি। প্রতিদিন প্রায় আনুমানিক এক লক্ষ যানবাহন এবং দেড় লক্ষ পথচারী এই ব্রিজটি ব্যবহার করে থাকেন।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিজটি যখন চালু হয়, তখন জাপানি বিমান থেকে কলকাতায় বোমা হামলা চলছিল। নিরাপত্তার স্বার্থে এই ব্রিজের উদ্বোধন রাতে করা হয়েছিল। সবথেকে বড় বিষয়, ঐতিহাসিক এই ব্রিজের নির্মাণকাজ ভারতীয় শিল্প এবং স্থাপত্যের একটি অন্যতম কৃতিত্ব।
জানা যায়, ব্রিজ নির্মাণের জন্য সেই সময় ইংল্যান্ড থেকে ইস্পাত আনা হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধের দরুণ, সেই সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর টাটা স্টিল প্রয়োজনীয় টেনসাইল স্টিল সরবরাহ করে এই ব্রিজটি তৈরির জন্য। তবে এবার ৫ ঘণ্টার জন্য স্তব্ধ হয়ে যাবে এই ব্যস্ততম সেতুটি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।