Cal HC On Murshidabad: মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনা নিয়ে আদালতে রিপোর্ট জমা দিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। কী বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে? জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন… 

Cal HC On Murshidabad: মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার ঘটনায় হাইকোর্ট গঠিত তিন সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের রিপোর্টে বিস্ফোরক তথ্য! রিপোর্টে দাঙ্গায় মদতে একাধিক শাসকদলের নেতার নাম রয়েছে বলে সূত্রের খবর! রিপোর্টে প্রশ্নের মুখে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তাও। মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধিত আইনের প্রতিবাদে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনায় বিস্ফোরক রিপোর্ট দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট দ্বারা গঠিত তিন সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। রিপোর্টে শাসক দলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে সরাসরি হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এমনকী হিংসা হচ্ছে দেখেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলেও দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনার তদন্ত করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ তিন সদস্যের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই কমিটিতে ছিলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার যোগিন্দর সিং, রাজ্য জুডিশিয়ার সার্ভিসেসের সচিব অর্ণব ঘোষাল ও রাজ্য জুডিশিয়াল সার্ভিসেসের রেজিস্ট্রার সৌগত চক্রবর্তী। কমিশনের প্রতিনিধিরা দাঙ্গায় আক্রান্ত সমস্ত জায়গা ঘুরে দেখে যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল (West Bengal News)। 

ওই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ধুলিয়ান পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রশাসক মেহেবুব আলমের গত ১১ এপ্রিল হিংসা ছড়ানোয় ভূমিকায় ছিলেন। শাসকদলের স্থানীয় নেতারা বা পুলিশ হিংসা বন্ধ করতে কোনও উদ্যোগ নেননি। মেহেবুব আলম নিজে দাঙ্গাকারীদের সঙ্গে যুক্ত থেকে হিংসা ছড়ান বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। 

এদিন রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ১১ এপ্রিল দুপুরের পর আক্রমণ আরও তীব্র হয়। ১১ এপ্রিল তৃণমূলের এক বিধায়ক হিংসাকবলিত এলাকা দেখে ফিরে যান। তিনিও হিংসা বন্ধ করতে পদক্ষেপ করেননি। যার ফলে পরের দিনও হিংসার ঘটনা অব্যাহত ছিল।

শুধু তাই নয়, কমিশনের রিপোর্টে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মুর্শিদাবাদের দাঙ্গায় যখন আক্রান্তদের বাড়ি, দোকান, মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে, তখন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ। আক্রান্তদের কাতর আর্তনাদেও দাঙ্গাকারীদের আটকাতে কোনও পদক্ষেপ গ্রহন করেনি পুলিশ প্রশাসন।

আরও জানা গিয়েছে, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে জাফরাবাদে বাবা ও ছেলের খুনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিহত হরগোবিন্দ দাসের বাড়িতে ঢুকে কুড়ুল দিয়ে দরজা ভেঙে ফেলে দাঙ্গাকারীরা। তারপর কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলেকে (Murshidabad Crime News)।

ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, শুধুমাত্র বেতবোনা গ্রামেই ১১৩টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মন্দিরেও ব্যাপক ভাঙচুর হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে আক্রান্তদের রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে মালদহ জেলায় আশ্রয় নিতে হয়েছে। আক্রান্তদের জোর করে ঘরে ফেরানো হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ, সমস্ত আক্রান্তদের ক্ষতির পরিমাণ সমান নয়। তাই সবার জন্য একই ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলে সমস্যা মিটবে না। প্রত্যেকের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ সমীক্ষা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা উচিত বলে জানানো হয়েছে। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।