সংক্ষিপ্ত

প্রশ্ন উঠছে, একজন সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক কীভাবে এধরনের আচরণ করতে পারেন? তাহলে সেই স্কুলের পড়ুয়াদেরই বা কী অবস্থা হতে পারে?

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কীর্তিতে মাথায় হাত খোদ শিক্ষক মহলের। তার ভয়ঙ্কর কীর্তিতে হাঁ হয়ে গিয়েছেন অভিভাবকরা। একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে পাড়ার জলসার মাচায় চটুল গানের সঙ্গে নামছেন। তাও জামা খুলে কোমরে বেঁধে। স্বল্পবসনার গায়িকার পাশে ভল্ট দিচ্ছেন, দিচ্ছেন সামার সল্ট। মদ্যপ অবস্থায় স্বল্পবসনার দিকে কার্যত তাকিয়ে রয়েছেন হা করে। ক্রিসমাসের দিন পাড়ায় চটুল গানের সঙ্গে নাচলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

প্রশ্ন উঠছে, একজন সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক কীভাবে এধরনের আচরণ করতে পারেন? তাহলে সেই স্কুলের পড়ুয়াদেরই বা কী অবস্থা হতে পারে? হাওড়ার শ্যামপুর ১ নম্বর ব্লকের বিনোদচক তপসিলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কান্ডতে মাথা হেঁট শিক্ষক মহলের। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হল সেই ভিডিয়ো। আর গ্রাম জুড়ে পড়ল ঢি ঢি।

জানা গিয়েছে সাত বছর ধরে বিনোদচক তপসিলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন চন্দন দে নামের ওই শিক্ষক। স্থানীয় সূত্রে খবর ওই এলাকার বেশিরভাগ পরিবারই বেশ দরিদ্র। নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। সেই পরিবারের পড়ুয়াদের বাবা মায়ের কাছে সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে পড়ানো বিলাসিতার সামিল। অক্ষর জ্ঞান দেওয়াতে ভরসা গ্রামের প্রাথমিক স্কুল। সেই স্কুলের শিক্ষক চন্দন দে, যিনি কিনা মদ্যপ অবস্থায় পাড়ার মাচার চটুল গানে খালি গায়ে নেচে বেড়ান। সেখান থেকে কী শিখবে তাঁদের সন্তানরা! প্রশ্ন করছেন বাবা মায়েরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, স্কুলে প্রথম থেকে মদ খেয়ে আসতেন চন্দন দে। ওই স্কুলে আরও একজন শিক্ষিকা রয়েছেন। অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, প্রধান শিক্ষকের আচরণের প্রতিবাদ করেছিলেন ওই শিক্ষিকা। অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, বাচ্চারা বাড়ি ফিরে হেড স্যরের নামে বলতেন, যে তিনি মদ খেয়ে এসেছেন। এমনকি মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে নাচ, অভব্য আচরণও করতেন বলে অভিযোগ। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।