এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলের নিচে অংশ হঠাৎ এই ধসের কবলে পড়ে। এই ঘটনার জেরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে স্কুলের এক বিস্তীর্ণ অংশ। বিষয়টি লক্ষ্য করে আতঙ্কে শিউরে উঠছেন এলাকাবাসীরা। যেকোন সময়ে ধসের কবলে পড়তে পারে তা চিন্তা করেই অনেকের রাতের ঘুম উড়েছে।

একি ভয়াবহ ঘটনা! একেবারে একটা আস্ত স্কুল হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ল কয়লা খনির ধসের জেরে। তবে রেহাই একটাই দিনের বেলায় স্কুল চলাকালীন এই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটিতে এই ঘটনা ঘটেনি। ফলে রাতের দিকে এই ধসের ঘটনা ঘটায় অসংখ্য পড়ুয়ার জীবন রক্ষা পেল। তবে এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন যে আগামীতে অন্য সকল জনবহুল এলাকাগুলিতেও এই ধসের ঘটনা ঘটতে পারে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত্রে প্রায় সাড়ে ৭টা নাগাদ অন্ডাল থানার অন্তর্গত খাস কাজোড়ার আজির বাগান এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলের নিচে অংশ হঠাৎ এই ধসের কবলে পড়ে। এই ঘটনার জেরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে স্কুলের এক বিস্তীর্ণ অংশ। বিষয়টি লক্ষ্য করে আতঙ্কে শিউরে উঠছেন এলাকাবাসীরা। হঠাৎ করেই স্কুলের ওই অংশটি ধসে যাওয়ার ঘটনা দেখে সংলগ্ন এলাকায় যেকোন সময়ে ধসের কবলে পড়তে পারে তা চিন্তা করেই অনেকের রাতের ঘুম উড়েছে।

ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছেন ই সিএল কর্তৃপক্ষ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কয়লা খনির কয়লা উত্তোলন করায় এই ঘটনা ঘটছে। তাদের দাবি, যে উপায়ে কয়লা খনির ভূগর্ভস্থ অংশে কয়লা কেটে নেওয়ার পর সেই অংশটিকে বালি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া উচিত ছিল সেই বালি দিয়ে । অভিযোগ, ভরা হয়নি ওই অংশ, যার ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। অন্ডাল থানার পুলিশ খবর পাওয়ার পরপরই ইসিএল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলে ওই এলাকাটি বিপদজনক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সমস্ত এলাকাটিকে বিপজ্জনক স্থান হিসেবে ঘিরে ফেলেছে প্রশাসন। জানা গেছে, এই ধসের ঘটনায় স্কুল বিল্ডিংটি মাটির নিচে চলে গেছে। এমনকি পাশে একটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটিও মাটির গভীরে চলে গেছে বলে খবর। আশেপাশের অংশেও যে কোন মুহূর্তে প্রভাব পড়তে পারে বলেই ভয়ে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা । এই ঘটনা নিয়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।